সিনহা হত্যা: সার্জেন্ট জিয়াউরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফায় দ্বিতীয় দিনে ২৭ তম সাক্ষী সার্জেন্ট জিয়াউর রহমানের সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ বিচার কাজ শুরু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম।

এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় তিন দিনে পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মামলায় চতুর্থ দফায় দুই দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় পঞ্চম দিনে আরো ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় ২৭ তম সাক্ষীসহ আরো ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সোমবার সকাল ৯ টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে নেওয়া হয়।

পিপি ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণের পঞ্চম দফায় প্রথম দিন পর্যন্ত ২৬ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :
কপোতাক্ষের ভাঙ্গন, পাইকগাছার বোয়ালিয়া মালোপাড়ার বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে
কে এই নেট জনপ্রিয় মিষ্টি কন্যা?

‘সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনে ২৭ তম সাক্ষী হিসেবে সেনা সদস্য সার্জেন্ট জিয়াউর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়।’

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, সোমবার পঞ্চম দফায় দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ তম সাক্ষীসহ ৫ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। র‌্যাবকে মামলার তদন্ত ভার দেন আদালত। ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার ৩ সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) এর ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এতে ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।

অক্টোবর ১১.২০২১ at ২২:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রানি/রারি