দিনাজপুরে ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারগুলো ৪০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের বিএস কোয়াটার গুলো দীর্ঘ ৪০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে বিএস কোয়াটার গুলো। জরাজীর্ণ হয়ে বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, হিলি হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ীসহ ৫ উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের বিএস কোয়াটারগুলো।

সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনপোযোগী হওয়ায় ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তারা (বিএস) বিএস কোর্য়াটারগুলোতে বসবাস করছেন না। ফলে কৃষকরা কষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তির পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশীর ভাগ ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তবে কয়েকটি উপযোগী হলেও সেখানে কেউ থাকেন না। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সনের দিকে তৎকালিন সরকার এই ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন (বীজাগার) হিসেবে নির্মান করে। পরবর্তীতে এই কর্মসুচি বাতিল করা হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী-ব্লক সুপার ভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য সংস্কার করে কোয়ার্টারে পরিনত করা হয়।

মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এসব কোয়ার্টারে থাকতেন। এসব ব্যয়বহুল কোয়ার্টার গুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপার ভাইজারদের (বিএস) আবাসিক এবং অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন না। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ও ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোতে থাকার কথা থাকলেও এসব উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কোয়ার্টারগুলোতে না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, সংস্কারের অভাবে এ গুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন :
কুড়িগ্রামে ২৪ হাজার মানুষের ১ চিকিৎসক
মহানবীর (সা.) ব্যঙ্গচিত্র আঁকা সেই সুইডিশ কার্টুনিস্ট দুর্ঘটনায় নিহত

এ সব পরিত্যাক্ত কোয়ার্টার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কর্মচারী কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি সরেজমিন কয়েকটি কোয়ার্টার্সে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বিএস কোয়ার্টার্সের অবস্থা খুবই করুণ। সেখানে জনৈক ব্যক্তি দখল করে বসবাস করছেন। বিএস কোয়ার্টার এর পার্শ্বে আবর্জনার স্তুপ।

নির্মিত ইউনিয়ন বিএস কোয়ার্টার একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর ও দুটি কক্ষ রয়েছে। প্রথম কয়েক বছর বি,এসরা অবস্থান করছিলেন। পরে তারা কোয়ার্টার্স ছেড়ে বসবাস শুরু করেন নিজ বাড়ীতে। তখন থেকে এগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোয়ার্টার্সে বিএসরা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হবে। তাদের কাছ থেকে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নেয়া যাবে। ভবন গুলো সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. এখলাস হোসেন সরকার জানান, এ বিষয়ে কোন চিঠি পত্র পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ০৪.২০২১ at ১৬:২১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাউআমা/রারি