সুখদহ নদীতে নেই ব্রিজ : বিকল্প পথও ঝুঁকিপূর্ণ, চরম দুর্ভোগে দুই উপজেলার মানুষ

বগুড়া গাবতলীতে স্থানীয় সুখদহ নদীতে নেই কোন ব্রিজ, বিকল্প পথও ঝুঁকিপূর্ণ। আর এ কারণে চরম দুর্ভোগে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।

একটি ছোট ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়দের উদ্দ্যেগে এলাকাবাসী বিকল্প পথ হিসাবে সেখানে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে চলাচল করছেন। তবে, তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

জানাযায়, গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ পূর্ব পাড়া এলাকার পাশ্ববর্তী সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচি গ্রামের পশ্চিমে অবস্থিত স্থানীয় সুখদহ নদী বয়ে গেছে।

৬৫মিটারের একটি ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন নারচি ও বুরুজ সহ আশপাশ গ্রামের কয়েক হাজার লোক মাঠে ও শহরে আসা যাওয়া করে। কাঠের ব্রিজের পূবপাশে সারিয়াকান্দী উপজেলা থেকে একটি পিচঢালা পাকা রাস্তা এসে সংযুক্ত হয়েছে। নদীতে পাকা ব্রিজ না থাকায় রিকশা ভ্যান ও যন্ত্র চালিত কোন যান বহন বা মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হয় না।

বুরুজ গ্রামের কৃষকের কয়েক হাজার হেক্টর জমি রয়েছে ব্রিজের পূর্ব পাশে। হালচাষ করতে গরু ও পাওয়ার টিলার এবং উৎপাদিত শয্য সামগ্রী আনানেওয়া ঐ ব্রিজের উপর দিয়ে খুব ঝুঁকিপাণ হয়। এবং বন্যার সময় ফসলি আবাদ করা প্রায়ই অসম্ভব হয়। যে কারনে তাদের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে আসতে সয়ম লাগে প্রায় ২ ঘন্টা। কোন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার সময় রোগীর আত্নীয় স্বজনের বিরষ্মনয় পড়তে হয়। ফলে ১০ মিনিটে রাস্তা ঘুরে আসতে সময় লাগে ২ ঘন্টা।

এলাকার কৃষক আনিছুট রহমান (৭০), ফুল মিয়া (৬৫), গৃহবধু রোমানা বেগম (৬০), আইরিন নাহার (৪৫) বলেন বুরুজ সুখদহ নদীতে একটি ছোট ব্রিজের অভাবে আমাদের ও পাশ্ববর্তী সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ কে দূভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঝুঁকিপূণ কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল ও মালামাল আনা নেয়া খুবই ঝুঁকি পূর্ণ বন্যার সময় স্কুল গামী ছাত্র ছাত্রী দের এই ঝুঁকি পূর্ণ ব্রিজের উপর দিয়ে পার হয়ে স্কুল যেতে হয় হয়। ছোট ছেলে মেয়ে এই ব্রিজ পার হতে গিয়ে অনেকে নদীর পানিতে চুবর খেতে হয়। এতে করে তাদের স্কুল যাওয়া হয় না। খুব ঝুঁকি পূর্ণ এই কাঠের ব্রিজ রোলিং না থাকায় কোন মতে আমরা পায়ে হেটে ব্রিজ পারাপার হই। আমাদের এ ধরনের দূভোগ দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম লতিফুর বারি মিন্টু ও ইউপি সদস্য মো. মহিদুল ইসলাম টুনু ব্যাক্তিগত উদ্দ্যাগে কয়েক বছর আগে এই কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দেন।

এলাকার জনপ্রতিনিধিরা খোপ প্রকাশ করে বলেন, নেপালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম লতিফুর বারি মিন্টু বিভিন্ন ভাবে জরিপ করে আমাদেরকে আশ্বাস দিলেও কেউ এখনো পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই।

নির্বাহী প্রকৌশলী এল জি ইডি অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন গাবতলী উপজেলার সুখদহ নদীর নারচী ব্রীজ টি নির্মাণের জন্য এল জি ইডি ১০০ মিটার প্রকল্প প্রস্তাবিত করা আছে এই প্রকল্প বাস্তয়াবিত হলে ব্রীজ টি নির্মাণ করা হবে।

সেপ্টেম্বর ২৬.২০২১ at ১৭:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রম/জআ