থানচিতে রাস্তায় কাঁদামাটিতে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বিভিন্ন ধরনে মালামাল পরিবহনে সীমানহীন ভোগান্তিক দুর্ভোগে কবলে বান্দরবানে থানচি (মগক) হেডম্যান পাড়াবাসী। পাড়া হতে উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরোনো ইট সংলি তুলে নেওয়ার পর বর্ষা মৌসুমে কাঁদামাটি ভরপুরে পায়ে হেঁটে চলাচলও সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদিত ফলজসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হচ্ছে পাড়াবাসী।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এল জিইডি’র) অর্থায়নে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের (মগক) হেডম্যান পাড়া হতে উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তার এক কিলোমিটার (এইচবিবি) ২০১১-১২ সালে ইট সলিং নির্মান করেন। একই অধিদপ্তর একইস্থানে ২০২১-২২ অর্থসালে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের কার্পেটিং’র জন্য বান্দরবান জেলা রোয়াংছড়ি উপজেলা বাসিন্দা কনক এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। (এলইজিডি) ও ঠিকাদার সংস্থা এর কাজের চুক্তিতে ডিসেম্বর টু ডিসেম্বর এক বছর মেয়াদের নির্মানে কাজ চলমান অবস্থায়।

আরো জানা যায়, বাস্তবায়ন কাজের উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা (পকশৈ), বান্দরবানে বাসিন্দা বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান ও তার অপর এক বন্ধুকে ১০% লাভের কাজ বিক্রি করে দেন। ক্রয়ের সূত্রে যৌথ ঠিকাদার সংস্থা জুন মাসের কাজ শুরু করে প্রায় ২০/২৫ দিন কাজ করেছিল ঠিকাদার সংস্থা। এ সময় পুরোনো ইট তুলে দিয়ে অর্ধেক রাস্তার উপর ইটের কংক্রিট ( মেকাডম) ফেলে দেয়। অপর অর্ধেকে কাঁদা রাস্তা রেখে কাজ ফেলে চলে যায়। এতে চরম ভোগান্তি কবলে পড়তে হচ্ছে পাড়াবাসীর।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিতপ্তরে(এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার সংস্থাকে বলেছিলাম যতটুকু কাজ করবেন ততটুকু পুরোনো ইট উঠে নিবেন। কিন্তু রাস্তা পুরো ইট তুলে নেন। ঠিকাদার তারা ইট সলিং রাস্তা থেকে পুরোনো ইট উঠিয়ে নেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কখন কাজে হাত দিবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই বর্ষা মৌসুম বা বৃষ্টি কমে গেলে কাজ শুরু করবে।

আরো পড়ুন :
মুখে ঘা হওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ নয় তো?
গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণগেল বড় ভাইয়ের

এদিকে থানচি (মগক) হেডম্যান পাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা থেকে ইট তুলে নেওয়ায় কাঁদামাটি ভরপুরে যাতায়াতে পাড়াবাসীর কষ্ট পাচ্ছে। পাড়াবাসীদের জুমের উৎপাদিত ফলজসহ বিভিন্ন ধরনে মালামাল পরিবহন ও বাজার থেকে চাউল, সার, ভারী বস্তাগুলিতেও লেবার দিয়ে বহনের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। ঠিকাদার নির্মাণধীন রাস্তার কাঁদামাটি ভরপুরে মুক্তি পেতে দ্রুত কাজ করার দাবীর পাড়াবাসী।

ঠিকাদার সংস্থা মালিক বান্দরবানের বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান বলেন, দুই তিনজনকে শেয়ারে নিয়ে কাজ করানো ফলে ওস্তাদ বেশী হয়ে গেচ্ছে। রাস্তা হতে পুরোনো ইট না তুললে এত ভোগান্তি হত না। বৃষ্টির কমলে ২৫-২৬ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাজের তদারকিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকের হোসেন বলেন, কাজের গুণগত মান ভালো করতে হলে শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু করতে হবে। শুকনো মৌসুম পর্যন্ত পাড়াবাসীদের অপেক্ষা করতে হবে।

সেপ্টেম্বর  ১৯.২০২১ at ১৯:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/চিঅমা/রারি