গণরুম থাকছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

দীর্ঘ সময় পর সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আগামী ৫ অক্টোবর হল খুলতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। তবে থাকছে না গণরুম। বহিরাগত ও অছাত্রদের দখলে থাকা রুম বরাদ্দ দেওয়া হবে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের। শুধু ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থেকে পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন চান শিক্ষার্থীরা।

ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে একসঙ্গে যে কক্ষে থাকেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে সেটাই গণরুম নামে পরিচিত। যেখানে পড়াশোনার পরিবেশ তো দূরের কথা মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই পেতেই রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় তাদের। এবার এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, গণরুম শব্দটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক পরিবেশের সঙ্গে সম্মানজনক শব্দ না। সিদ্ধান্ত হয়েছে গণরুম রাখা হবে না।

সব হলের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। শিক্ষার্থীদের যেন মেঝেতে ঘুমাতে না হয় সে জন্য তৈরি করা হচ্ছে খাট। রিডিংরুম ও ডাইনিংরুম থেকে শুরু করে সবকিছুই সাজানো হচ্ছে নতুন সাজে।

হল প্রভোস্টরা বলছেন, ধাপে ধাপে গণরুম মুক্ত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে অছাত্র ও বহিরাগতদের দখলে থাকা রুম মুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়া হবে বৈধ শিক্ষার্থীদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ৫ তারিখে তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে তখনই যে গণরুম তুলে দেওয়া যাবে এটা অবাস্তব কথা। কারণ তাদের জিনিসপত্রও সেখানে রয়ে গেছে। তারা আসলে তাদের শিফট করে দেওয়া হবে। ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না রেখে সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন চান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, এই যে গণরুম বিলুপ্ত করতে চাচ্ছে, এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

আরো পড়ুন:
মুখে ঘা হওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ নয় তো?
গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণগেল বড় ভাইয়ের

যদি শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা না করতে পারে তাহলে প্রথম বর্ষ ও ২য় বর্ষ শিক্ষার্থীদের ঢাকাতে থাকার ব্যবস্থা অনেকেরই নেই। তখন কি হবে, জানান তারা। হল অছাত্র ও বহিরাগতমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, বহিরাগত কোনো শিক্ষার্থী যদি বৈধ শিক্ষার্থীর রুমে থাকে, আর তারা যদি আমাদের অবহিত না করে, আমাদের কিন্তু খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষার্থীরা বরাদ্দ পেলে তারা সে রুমে চলে যাবে। সে রুমে ওঠার ব্যাপারে হল সংশ্লিষ্ট তাকে সহযোগিতা করবে।

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুধু স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল।

সেপ্টেম্বর ১৯.২০২১ at ১৬:০২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ