‘সাইবার নিরাপত্তা সেবায় ট্রিপল নাইন ( ৯৯৯) যুক্ত করার দাবি’

সামাজিক যোগাযোগ, পড়াশোনা থেকে শুরু করে অনলাইনে কেনাকাটা-সবকিছুই হচ্ছে ইন্টারনেটনির্ভর। তবে মুক্ত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও সাইবার ঝুঁকিতে পড়ছে।

কিন্তু এ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে সেবা পাওয়ার কোনো পদ্ধতি বা কল সেন্টার এখনো গড়ে ওঠেনি। এ অবস্থায় দেশের সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহককে সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত যে কোনো সেবা, জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের (৯৯৯) মাধ্যমে প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ পর ফ্রি ফায়ার পাবজি গেম বন্ধ ও স্কুল কলেজ খোলার পর অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেলেও এখনো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার প্রায় আগের মতোই অর্থাৎ প্রায় ২৬৪৬ জিবিপিএস ব্যবহার হচ্ছে।

এ থেকেই অনুমেয় ইন্টারনেট ছাড়া নাগরিক জীবন অচল। কিন্তু কিছু ইন্টারনেট অপব্যবহারকারী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা অপপ্রচার, ব্যক্তিগত ভিডিও প্রচার, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও আমাদের দেশে এ থেকে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

আরও পড়ুন:
সাত ফুট লম্বা চিচিঙ্গা
শিবগঞ্জে বিল্ডিং নির্মাণ সামগ্রীর ৪টি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন

তাদের মধ্যে অন্যতম ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি, বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা।

কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকায় গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করে। দ্রুত সমাধান পেতে কোথায় ফোন করবে বা যাবে সেটি স্পষ্ট নয়।

এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় পুলিশের দ্রুত সেবা দানকারী কল সেন্টার ৯৯৯ কে সমন্বয় করা গেলে তারাই গ্রাহকের অভিযোগ শুনে নির্ধারণ করে দেবে এটির সমাধান কে করবে বা গ্রাহককে নিরাপত্তা দিতে কোন এজেন্সি বা কোন দপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে পুলিশের কল সেন্টার ৯৯৯-কে ব সংস্থার সঙ্গে যেন সমন্বয় করা হয়।

সেপ্টেম্বর ১৮.২০২১ at ১৬:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ