দুই সেমিস্টারের পরীক্ষার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তা

কে থাকা দুই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষেই ক্যাম্পাস খোলার চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ।

অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনে যেহেতু পরীক্ষা আছে, তাই এখন ক্লাস হওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। এখন পরীক্ষাটা হচ্ছে প্রধান বিষয়। দুই সেমিস্টার হওয়ার পরই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এর আগে ক্লাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, সম্ভবও নয়।’

কোষাধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘পরীক্ষাটাকে আসলে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া, ক্লাস নেওয়া সম্ভব না।’

টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ বলেন, উপাচার্য মহোদয় আমাকে বিষয়ে জানিয়ে গিয়েছেন। উনার অনুপস্থিতিতে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ ও সংকটের বিষয়ে তাদেরকে জানাবো।

আরো পড়ুন :
কুড়িগ্রামে করোনা কালিন স্বাস্থ্য বার্তা প্রচারে একদিনের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
আরও ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২১০ জন টিকা নিয়েছেন

এরপর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল সেন্টার এ হোক বা বুথ বসিয়ে কিংবা ক্যাম্পাসের আশেপাশের কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকার রেজিস্ট্রেশন, রেজিস্ট্রেশন করেছে টিকা পাচ্ছে না কিংবা এক ডোজ নেয়া হয়েছে অন্যটি পাচ্ছে না এমন সমস্যায় পড়েছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারবে। তবে অবশ্যই টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ডটা থাকতে হবে।

আর যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্য তো এপস আসবেই বা যেভাবেই হোক টিকার ব্যবস্থা হবে৷ আর কেউ যদি নতুন করে এনআইডি করতে চায় সেক্ষেত্রেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাধান্য পাবে।

সেপ্টেম্বর  ১৬.২০২১ at ১২:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সম/রারি