করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে ২০২০ সালের ১৭ ই মার্চ থেকে।দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরে গত ১২ ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে।
এই দীর্ঘ মেয়াদে ছুটির ফলে বিশেষ করে শিশুরা একেবারেই ঘরবন্দী হয়ে যায়।বিভিন্ন সময়ে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে শিশুরা এমনকি ঘরের বাইরেও অসে নি।ফলে তারা ঘরে থেকে অনলাইন গেইমস বা মোবাইল ফোন ইত্যাদির উপর মারাত্মনভাবে আসক্ত হয়ে যায়।
বর্তমান যুগে খুব কম পরিবারে দেখা যায় যে পরিবারের সদস্যরা শিশুদের সাথে খেলা করছে বা গল্প করছে।প্রযুক্তির এই যুগে সবাই প্রযুক্তি নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে।ফলে শিশুরাও বিভিন্ন গেইমস- পাবজি,ফ্রি ফায়ার ইত্যাদির ওপর ঝুঁকে পড়ে।দীর্ঘ মেয়াদে ছুটির ফলে শিশুরা অনেক সময় তাদের প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা না হওয়ায় মন খারাপ করে থাকে বা একাকিত্ব অনুভব করে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সেদিন স্কুলে অসতে পেরে শিশুদের মাঝে অন্যরকম আনন্দ দেখা যায়। পাখির খাঁচা থেকে মুক্তির পর যেমন আনন্দ হয় তেমন আনন্দ উপভোগ করে শিশুরা।এজন্য শিক্ষকদের উচিত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিনোদন মূলক কর্মকাণ্ড বেশি বেশি করা যাতে করোনার সময় যে মানসিক প্রভাব পড়েছিল তা মুছে যায়।
সেপ্টেম্বর ১৪.২০২১ at ১৫:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফা/রারি