বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৪ বস্তা চাল জব্দ, জরিমানা ১ হাজার

নওগাঁর বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি দশ টাকা কেজির দরের ১৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা বারোটায় বদলগাছী থানার মোড় এলাকা থেকে সবুর হোসেন নামে একব্যক্তি ভ্যানে করে চাল নিয়ে যাওয়ার সময় চালসহ তাঁকে আটক করে বদলগাছী থানা পুলিশ।

পরে উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আটক ব্যক্তির এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকতৃ চাল আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামের বসবাসরত অসহায় ও দরিদ্র লোকজনদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমীন এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদণ্ড পাওয়া ব্যক্তি হলেন, মোঃ সবুর হোসেন (২৫)। তিনি বদলগাছী উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।

খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ও শুনে জানাযায়, থানার সামনে পাবলিক লাইব্রারী সংলগ্ন খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ডিলার জামিলের ঘর। ঐ ডিলারের ঘরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোন ট্যাগ অফিসার নেই।

সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দার বলেন, এই ডিলারের পাশে থেকেই চাল গুলো সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ক্রয় করেন ঐ ব্যক্তি। এবং তারা আরো বলেন ডিলারের ঘরের পার্শে থেকে কিভাবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে এই চাল ক্রয় করেন ঐ ব্যক্তি। আমাদের জানামতে ডিলারের ঘরের আশে পাশে থেকে কেউ চাল ক্রয় করতে পারবেনা। এখানে কোন প্রশাসনের নজরদারী নেই।

এবিষয়ে ডিলার জামিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , এখান থেকে কোন চাল জব্দ করা হয়নি বলে বিষয়টি অস্বিকার করেন।

আরো পড়ুন :
লেবুখালী ফেরিঘাটে হকারদের পুনবার্সনে জন্য মানববন্ধন
ব্রিজটি এখন যেন দুই গ্রামের মানুষের মরণফাঁদ

বদলগাছী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ মোহাজের হাসান জব্দ করা ১৪ বস্তা চাল সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দশ টাকা কেজি দরের চাল বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুবিধাভোগীরা ডিলারের কাছ থেকে চালগুলো কিনে বিক্রি দিয়েছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে কোন- কোন সুবিধাভোগীদের চালগুলো বিক্রি দিয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি।

ইউএনও স্যার জব্দকৃত চালগুলো আবাসন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত গরীব মানুষদের বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আজকেই চালগুলো বিতরণ করা হবে। সেখানে গিয়ে কোন ট্যাগ অফিসার নেই কেন বলে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।

বদলগাছীর ইউএনও আলপনা ইয়াসমীন বলেন, সুবিধাভোগীরা খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল বিক্রি করতে পারবেন না। যেসব সুবিধাভোগী চাল বিক্রি দিয়েছেন চিহ্নিত করে তাঁদের কার্ড বাতিল করা হবে।

অপরদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, নামেই রয়েছে ট্যাগ অফিসার কোন ডিলারের ঘরেই চাল বিতরণের সময় সর্বক্ষণ ট্যাগ অফিসারকে উপস্থিত পাওয়া যায়না। আবার কিছু কিছু ডিলারের নামে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না প্রশাসন।

সেপ্টেম্বর  ১৩.২০২১ at ২০:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সারসা/রারি