বর্ষা এবং শীতের মাঝামাঝি যে ঋতু প্রকৃতিপ্রেমীদের মন কেড়ে নেয় সেটি শরৎ। প্রকৃতির মোহনীয় রুপ সবাইকে মুগ্ধ করে। কালো মেঘের আঁধার কেটে গিয়ে আকাশে ভাসে সাদা মেঘের ভেলা। শীতের আগমনী বার্তাও শোনা যায় শরতে। বাতাসে ভাসে শিউলি ফুলের গন্ধ আর নদীর তীর জুড়ে সাদা কাশফুলের অবারিত মাঠ। আর এমনই এক মোহনীয় মুহূর্তে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অর্থাৎ শশুরকুল থেকে পিতৃকুলে স্বপবিারে বেড়াতে আসেন দেবী দূর্গা। দেবীর আগমনকে ঘিরে ভক্তদের শুরু হয় ব্যস্ততা। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে প্রতিমা কারিগর থেকে আয়োজক সবারই সেই ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়।
বাঙালির জীবনে শরতের সাথে জড়িয়ে আছে শারদীয়া দূর্গোৎসব। শারদীয় দূর্গাপূজার আনন্দ উৎসবে রুপ নিয়েছে। পাবনার বেড়া উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। চলছে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ। কাঠামো দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কোথাও চলছে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ। মাটি দেওয়া শেষ হলেই শুকানোর জন্য অপেক্ষা। এরপরেই শুরু হবে রং-তুলির আঁচড়।
প্রতিমা শিল্পী উত্তম পাল জানান, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর বেড়া উপজেলা শাখার সভাপতি ভিখুরাম হালদার জানান, এখন পর্যন্ত আমরা ৫২ টি পূজার তালিকা তৈরি করেছি। পূজার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। গতবারের চেয়ে এ বছর পূজার সংখা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেপ্টেম্বর ১৩.২০২১ at ১৩:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হরহ/জআ