লালপুুরে প্রাণ ফিরেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনে ফুলদিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

সারা দেশের ন্যায় এক যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নাটোরের লালপুরে ২০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে ক্লাস। আজ রোবিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১৮ মাস পরে আবারো শিক্ষার্থীদের পদচরনায় মুখর হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বেজেছে স্কুলের ঘন্টা।

সকাল দশটার দিকে লালপুর উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। এসময় উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার সাদ আহম্মেদ শিবলী, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মন্ডল সহ শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটে শারীরিক দূরত্ব মেনে একজন করে স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় থারমাল স্কেনার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপছেন গেটে থাকা স্কুল কর্র্তৃপক্ষর লোকজন।

এরপর একে একে সাবান পানি ও জীবানুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে নির্ধারিত ক্লাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। শ্রেনী কক্ষগুলিতে প্রতিটি বেঞ্চে দাগ দিয়ে রাখা স্থানে একজন করে শিক্ষার্থী বসেছে। শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষকরা স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এসময় জানতে চাইলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রনি আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে স্কুলে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। স্কুলে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে । অনেক দিন পরে বন্ধু দের সঙ্গে দেখা হলেও কোলাকুলি করতে পারছি না। আমরা যে আবর স্কুলে এসে পড়া শোনা করতে পারছি এটা ভেবেই ভালো লাগছে।’

গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালরে প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মন্ডল, ওয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর আরী বলেন,‘সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ৯দিন আগে থেকে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধির প্রস্তুতি নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় শত ভাগ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে এসেছে। মাস্ক, থারমাল স্কেনার, আইসোলেশন রুমসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে আমাদের।’

দীর্ঘদিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্টন খুলে দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ধ্যনবাদ জানিয়ে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার লক্ষে ৯দিন আগে থেকে সকল নির্দেশনায় স্কুল প্রস্তুত করেছি।সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় শত ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসেছে। মাস্ক, থারমাল স্কেনার, আইসোলেশন রুমসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে।’

লালপুর উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার সাদ আহম্মেদ শিবলী জানান, ‘পরিদর্র্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিদর্শন করলাম। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি, বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়। স্বাস্থ্যবিধির যে যে পর্যায় গুলি মানতে করোনা কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মেনে আমারা স্কুল গুলি খুলেছি। আশাকরি আমার এই মহমারি কাটিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো।’

লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন,‘ আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। আমরা নতুন একটি যুগে মনে হয় প্রবেশ করলাম। শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্ত ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে দীর্ঘ দিনের যে শারীরিক ও মানুষিক একটি বিমর্ষভাব চলে এসেছিলো তা কেটে উঠতে পারবে। তাদের মাঝে সরকারী নির্দেশনা দিয়েছি।

আরো পড়ুন :
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় রাজধানীতে ভয়াবহ যানজট
ঘোড়াঘাটে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক এক জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য গ্রেফতার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্টান গুলি যেনো নতুন করে আর বন্ধ না করা হয় তার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি স্থায়ী ভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি বলে জানান তিনি। ’

সেপ্টেম্বর  ১২.২০২১ at ১৮:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোআরটু/রারি