পুরুষদের হাতে রজনীগন্ধা। নারীদের হাতে লাল গোলাপ। এরা সবাই ২০ সেপ্টেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী। পুরুষরা সদস্য আর নারীরা সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় বাগেরহাটের চিতলমারী থানার সভাকক্ষে পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান তাঁদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য ২০ তারিখের নির্বাচনে প্রার্থীদের পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা।
সভায় সন্তোষপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী, শিবপুর ও হিজলা ইউনিয়নের ৫১ জন সংরক্ষিত নারী ও ১৪০ জন সদস্য প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান প্রার্থীদের বলেন, আমারা চাকুরীর সুবাদে আপনাদের এলাকায় এসেছি। আবার চলেও যাব। আপনারাই এই এলাকায় বাস করবেন।
তাই আগামী ২০ তারিখের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আপনাদের ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। জনগন ভোট দিবে। আপনারা নির্বাচিত হবেন। সহিংসতা ছড়ালে নির্বাচন বন্ধ হতে পারে। ভোট প্রয়োগে কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
এ সময় সদস্য প্রার্থী হিজলা ইউনিয়নের জগদীশ চন্দ্র বসু, মেহেদী হাসান সবুজ, লতা কাজী, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের শেখ মতিয়ার রহমান টুকু ও সোহাগ শেখ পুলিশের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমরাও চাই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। পেশী শক্তির দিন এখন শেষ। তাই জোর করে জয়ী হওয়া যাবে না।
মতবিনিময় সভায় এ সময় পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন, থানার অফিসারগন ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এডিআইও কে এম বদরুল আলম।
সেপ্টেম্বর ১২.২০২১ at ১৮:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সোসুমা/রারি