পাবনায় পেয়াজের দাম কম থাকায় লোকসানে কৃষক

পাবনা জেলায় সবচেয়ে বেশি পেয়াজ উৎপাদন হয় বেড়া, সাঁথিয়া,সুজনগর উপজেলায়। যার সিংহভাগ পেয়াজ বিক্রি হয় কাশিনাথপুর হাটে। ৭সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেড়ার সপ্তাহের প্রথম হাট বারে পেয়াজের দাম ছিলনা তমন আশানুরূপ। আজ বড় পেয়াজ মানভেদে ১২০০-১৪০০ টাকা ও রোপন যোগ্য ছোট পেয়াজ ১৮০০-২০০০ টাকা বিক্রি হয়।

এতে করে উদ্বেগ বেড়েছে কৃষাণীর মুখে। সুজানগরের গাজনার বিলের পেয়াজ চাষী মো. আঃমালেক হাটে প্রায় ২০ মন পেয়াজ এনেছেন। পেয়াজের বাজারে হিসেবে ১৪০০ টাকা মন বিক্রি করেন। তিনি জানান, যেখানে ভরা মৌসুমে পেয়াজ ১৫০০-১৬০০ টাকা করে কাঁচা পেয়াজ বেচছি, সেনে আজ চাঙ্গে রাহে পেয়াজ সুখায়ে বেচলাম ১৪০০ টাকা মন।

তিনি আরো জানান, এ বছরে এমনিতেই পেয়াজের বীজের দাম বেশি ছিলো, যে পেয়াজের বীজ প্রতি বছর ১২০০-১৩০০ টাকা করে কিনতাম সে বীজ এ বছরে মানভেদে ৫০০০-১৫০০০ হাজার টাকা কেজি দরে কিনতে হয়ছে। সে হিসেব করলে আমাদের চাষ, সার, কামলা খরচ দিয়ে প্রতি মন পেয়াজ প্রায় ১৪০০-১৫০০ টাকা মন খরচ পড়ছে। এখন যে বাজার চলছে এতে করে লাভতো দূরের কথা খরচও হয়তো উঠবে না।

এতো গেল কৃষাণীর অবস্থা, আরো বড় বিপদের সম্মুখীন পেয়াজ সংরক্ষণ কারীরা, মোঃআরিফুল আলম এ বছর প্রায় ২০০ মন পেয়াজ হাট থেকে কিনে সংরক্ষণ করেছেন। তিনি জানান পেয়াজের ভরা মৌসুমে ১৫০০-১৬০০ টাকা মন হিসেবে প্রায় ২০০ মন পেয়াজ কেনেছি।কিন্তু এখন সংরক্ষণ করে পেয়াজ শুকিয়ে যাওয়ার পড়ে বেচতে হচ্ছে ১৩০০-১৪০০ টাকা। এতে করে পেয়াজ শুকিয়ে যাওয়ার গড়ে প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়ায় পেঁয়াজ সরবরাহ করা পেয়াজ ব্যাপারী মহীর জানান, বাইরে থেকে পেয়াজ আমদানি করায় এ বছরে পেয়াজের দাম তমন বাড়েনি।

আরো পড়ুন :
ঝালকাঠিতে ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্যসহায়তা পেল ৩,৬৪৪টি পরিবার
পার্বত্য এলাকায় দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর পাবনায় প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের পেয়াজ। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫হাজার হেক্টর বেশি। যার উৎপাদন ধরা হয়েছিল৬লাখ মেট্রিক টন।

উল্লেখ্য দেশের মোট চাহিদার তিনের একাংশ পেঁয়াজ পাবনা থেকে সরবরাহ করা হয়।

সেপ্টেম্বর  ০৮.২০২১ at ১২:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হার/রারি