বেনাপোল সীমান্তের ত্রাস আকুল আটক হওয়ায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

বেনাপোল সীমান্তের ত্রাস মুখোশধারী সন্ত্রাসী অস্ত্র মাদক হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী আকুল বাহিনী প্রধান আকুল হোসেন বিপুল পরিমাণের অস্ত্রসহ আটক হওয়ায় এলাকার জনমনে স্বস্তির নিশ্বাস বইছে। খুশিতে শুক্রবার দিনব্যাপী মিষ্টি বিতরণ ও মিষ্টিমুখ করেছেন শান্তিপ্রিয় বেনাপোলবাসী।

বেনাপোল পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু জানান, দীর্ঘদিন ধরে শতাধীক স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে বেনাপোল শার্শা এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি সিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন জঘন্নতম অপরাধের রামরাজত্ব কায়েম করে চালাছিলো আকুল। তার নেতৃত্বে সীমান্তের হুন্ডি ও স্বর্ণচোলনীদের জিম্মি করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকার স্বর্ণ ও হুন্ডির টাকা। প্রতিনিয়ত তার বাহিনী কর্তৃক সিনতাই অপহরণের মতো ঘটনা ঘটলেও কেউ তার উপর ছড়ি ঘোরাতে পারেনি। মাথার উপর বেনাপোল পৌর সভার শীর্ষ এক জনপ্রতিনিধির ছায়া থাকায় দিনদিন সে বেপরোয়া থেকে বেপরোয়া হয়ে মগের মুল্লুক কায়েম করে চলছিলো। অস্ত্র কেনা-বেচা, হুন্ডি ও স্বর্ণচোলান, প্রত্মতাত্রিক মুর্তি, তক্ষক ও পিলার প্রতারণা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়াসহ বিপুল পরিমাণের বিত্ত-বৈভবের মালিক হয় আকুল হোসেন। হঠাৎ সে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ৪ সহযোগীসহ আটক হওয়ার খবরে বেনাপোল-শার্শাবাসীর মনে ফিরে এসেছে স্বস্তির নিশ্বাস।

যেকারণে শুক্রবার দিনব্যাপী বেনাপোলে মিষ্টি বিতরণ ও মিষ্টি মুখ করেছেন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী।

আরো পড়ুন:
ঝিকরগাছায় আ.লীগ নেতা রাসেল হুদার জানাযার নামাজ সম্পন্ন
বেকার যুবক ও যুবতীদের আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সমাপনী

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আকুলসহ আকুল বাহিনীর সদস্যরা বাজার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে আসছিল। বিগত কয়েক বছর পূর্বে বেনাপোল বাজারের শাহাজাহান মার্কেটের একটি দোকান ঘর জবর দখল করে সেখানে চলতো তার রাজনৈতিক অফিস নামের সকল নরকজগতের জঘন্নতম কর্মকান্ড। কথিত আছে সেই কক্ষের কোন এক প্রান্তে বা পাশাপাশি দুই স্বর্ণবহনকারিকে অপহরণ করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চালান সিনতাই করে নিয়ে তাদেরকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিলো, অবশেষে হত্যা করত: লাশ দুইটি গুম করে ফেলা হয়। ওইদিন তাদের আত্মচিৎকারে এলাকার বাতাশ ভারি হয়ে উঠলেও পথচারিরা কেউ টু-শব্দটি করতে পারেনি। যা নিয়ে গুঞ্জনে কয়েক বছর পূর্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম কেবল সেঘরটি খোড়াখোড়ি করেছিলেন। কথাছিলো আবারো ওই ঘরের আশেপাশে খোড়াখোড়ি করে লাশের সন্ধান নেওয়া হবে। যা আদৌ আলোর মুখ দেখেনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান বলেন, আকুল হোসেনের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় বিষ্ফোরক, মারামারি ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা আছে। সর্বশেষ সে গত ১ সেপ্টেম্বর-২০২১, ৮টি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও ১৬ টি ম্যাগজিন নিয়ে ঢাকার দারুস সালাম থানা এলাকায় ৪ সহযোগীসহ আটক হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৩.২০২১ at ২০:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কউ/জআ