ফেন্সিডিল খেয়েই দেড় লাখ টাকা দেনা, রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী

রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য (আরএনবি) মো. নূরে আলমের বিরুদ্ধে ফেন্সিডিল সেবনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু ফেন্সিডিল সেবন করেই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বাকি করেছেন তিনি।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন নগরীর মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মো. মজিবুল হক।

প্রতিবেদককে তিনি মুঠোফোনে জানান, এক সময় আমি রেলওয়ে স্টেশনে উঠাবসা করতাম। সেই থেকে নূর আলমের সাথে আমার সুসম্পর্ক। সে একাধিকবার আমাকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছে। আর তাই তার সাথে আমার একটি আন্তরিকতার সম্পর্ক গড়ে উঠে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই নূর আলমের মাদক সেবনের অভ্যাস রয়েছে। এক সময় বেকারত্বের কারণে আমিও টুকটাক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছিলাম। সে সময় নূর আলম আমাকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছিল। আর এই কারণে তাকে বাকিতে মাদক সেবনের সুবিধা দিতাম। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সে টাকা আটকে দেওয়ায় আমি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি। প্রায় দেড় বছর যাবত সে (নূরে আলম) আমার নিকট বিভিন্ন সময়ে বাকিতে মাদক সেবন করে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আটকিয়ে দেয়। এঘটনায় পর থেকে তার সাথে আমার প্রায় এক বছর ধরে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে মাঝে মধ্যে টাকার জন্য আমি তাকে চাপ দিতে থাকি। এমনকি অফিস ও সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়ার ভীতি প্রদর্শনও করি। এতে গত ৩ দিন আগে (২০ আগস্ট) সে আমাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে যায় এবং বাকি ৫০ হাজার টাকা মাফ করে দিতে বলে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু সে আমার পাওনা টাকার প্রায় এক লাখ টাকা দিতে পেরেছেন সেহেতু বাকি ৫০ হাজার টাকাও দিতে পারবেন। তাই বাকি টাকা ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।

অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে নূর আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেউ শত্রুতাবশত: এসব মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। এসব কথার কোনো সত্যতা নেই। মজিবুল নামের কোন ব্যক্তিকে আমি চিনি না।

আরো পড়ুন:
গণটিকা কার্যক্রম বাতিল
রাজশাহীতে সাড়ে চারকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক : পরিদর্শনে রাসিক মেয়র

ডোপ টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলে ডোপ টেস্ট অবশ্যই করব। ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত দিবেন তা মেনে নিবো। সেক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই। তবে এসব মিথ্যা ও ভুয়া কথা বলেও দাবি তার।

আরএনবি সদস্য নূর আলমের বিষয়ে কথা হয় রেলওয়ের আরএনবি চিফ কমান্ডেন্ট অফিসার আশাবুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমি শুনেছি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছিল। ডোপ টেস্টে পজিটিভও এসেছিল। এমন অভিযোগ উঠে থাকলে তার বিরুদ্ধে আবারো ডোপ টেস্ট করানো হবে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগস্ট ২৩.২০২১ at ১৮:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মরর/জআ