অবহেলা অযত্নে পড়ে আছে প্রায় ৩০ বছর ধরে ঝিনাইদহ জেলার যাত্রী ছাওনি গুলো।
দেখে মনে হয় দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জন প্রতিনিধি মেম্বর, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দগন দেখেও মনে হয়। না দেখার ভান করে চলে যান।
এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মধুপুর চৌরাস্তার যাত্রী ছাওনিটির। যাত্রী ছাওনি ভেঙে গেছে। এই ছাওনির ভিতরে রাখা হয়েছে বালির স্তুপ। যাত্রী চাওনির ইট গুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছে কে বা কাহারা। মধুপুর চৌরাস্তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানদার বলেন আমাদের ভুপতিপুরের কাশেম ড্রাইভার এই বালি রেখেছে। এবং তার ট্রাকের ধাক্কায় এই যাত্রী ছাওনি ভেঙে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন এরা প্রভাবশালী ও দলীয় নেতা হওয়ার কারনে। কেউ এদের কিছু বলে না। জানতে পারা যাই ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঝিনাইদহ জেলার সকল স্থানীয় বাজার গুলোর উপর যাত্রীদের গাড়ীতে উঠা, নামা, রোদ, বা বৃষ্টিতে দাড়ানোর জন্য এই যাত্রী ছাওনি গুলো জেলা পরিষদের অধীনে স্থাপন করা হয়।
সরজমিন দেখা যাই। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুপুর চৌরাস্তা, গোয়ালপাড়া, কালা লক্ষীপুর, গোপালপুর বাজার চুটলিয়ামোড়, তেতুলতলা,বিষয়খালী, নগরবাথান, হলিধানী বাজার, বৈডাঙ্গা বাজার, ডাকবাংলা বাজার,সাধুহাটি সহ আরো অনেক জাইগায় যাত্রী ছাওনি গুলো নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
কালা লক্ষীপুরের যাত্রী ছাওনিটি স্থানীয় লোকজন মেরামত করেছেন। কেউ কেউ এই ছাওনির ভিতর চায়ের দোকান দিয়ে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ যাত্রী ছাওনির সানে বিভিন্ন রকমের ভ্রাম্যমান দোকান দিচ্ছেন।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নিকট স্থানীয় জনগনের আবেদন সরকারী সম্পত্তি যেন কেউ ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার না করে। জেলা পরিষদের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আগষ্ট ০৫.২০২১ at ১০:০৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কল/জআ