নামেই লকডাউন খোলা রয়েছে মার্কেটসহ সব ধরণের দোকান পাট

নওগাঁর বদলগাছীতে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব ধরনের বিপণিবিতান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। এ আবার কেমন লকডাউন, এটা কি লকডাউন না, শুধু নামেই কঠোর লকডাউন, কাগজে আছে লকডাউন বাস্তবে নেই। সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আনাগোনা চলছে। সড়কগুলোতে রয়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়। এই চিত্র বদলগাছীর মার্কেট ও বাজার গুলোতে।

জানাযায়, করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে ২৩জুলাই থেকে কঠোর লক লকডাউনের ঘোষণা দেন সরকার। তবে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বদলগাছীতে লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে।স্থানীয় লোকজন জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বদলগাছী উপজেলার সদর সহ সকল ইউনিয়নের মোড়ের বাজারে বিপণিবিতান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই কোন মাস্ক ।

জনগণ অনেকটা স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা । প্রশাসনের দুর্বল নজরদারির কারণে এখানে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর হচ্ছে না। ১জুলাই থেকে যে কঠোর লকডাউনে পালন হয়েছে তাতে প্রশাসনের নজরদারি ছিল কিন্তু ২৩ জুলাই থেকে যে লকডাউনের চিএটি সম্পন্ন আলাদা। এ যেন দিন আর রাতের মতো।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বদলগাছীর ৮টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সদরের সাহেব বাজার,ডাকবাংলো মোড়,চারমাথার মার্কেট,হাটখোলা বাজার, ব্রীজ মোড় ও আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ সামনের বাজার ,ভান্ডার পুর চারমাথা,কোলা বাজার,দ্বীপগঞ্জ মোড়,পারসোমবারী বাজার,বালুভড়া বাজার,কেশাইল মোড়,খলশী মোড়, মির্জাপুর মোড়,কোমাড়পুর মোড়,গোবরচাপা বাজার, পাহাড় পুড় বাজার সহ সকল মোড়ের বাজারে খোলা ও জনগণের ভিড়। উপজেলার প্রতিটি সড়কে ছিল রিকশা ও অটোরিকশা, সি এন জি,ভ্যানের দৌরাত্ম্য।

উপজেলার সাহেব বাজারের এলাকায় কয়েকজন বলেন, বদলগাছীতে কোথাও কার্যকর কঠোর লকডাউন নেই। দোকানপাট রয়েছে সব খোলা। যানবাহন চলছে। প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। শুধু বন্ধ সরকারি অফিস-আদালত। সরকার একদিকে কঠোর লকডাউনের কথা বলছে। কিন্তু সবকিছু চলছে আগের নিয়মে। এ কঠোর লকডাউনে হাঁসি-তামাশায় পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন:
রোডম্যাপ ঠিক করেই ব্যাপক হারে টিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত
গাছের ডাল পড়ে প্রান গেল ব্যবসায়ীর

বদলগাছী বাজারের কাপড় বিক্রির দোকানে গিয়ে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। মুখে মাস্ক ছাড়াই ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন এক বিক্রেতা। এ সময় সাহিনা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, কঠোর লকডাউনে দোকান পাট বন্ধ ছিল তাই বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। এখন তো সকল কিছুই খোলা তাই নিজের ও মেয়েদের জন্য কিছু জামাকাপড় কিনতে এসেছি। তিনি আরো বলেন. কঠোর লকডাউনের ব্যাপারে শুনেছি কিন্তু এখনতো দেখছি সব ধরণের দোকানপাট খোলা লকডাউন বলে মনেই হচ্ছেনা।

একই অবস্থা ছিল আসবাব, প্লাস্টিক পণ্য, সোনাসহ অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান বন্ধের জন্য চাপ নেই শুধু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর গাড়ি কে খেয়াল করছি তিনি আসলে জরিমানা করেন । আর ব্যবসা বন্ধ রাখলে লোকসান গুনতে হবে। তাই সব দোকান খোলা রয়েছে।

বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কানিজ ফরহানা জানান, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মক লকডাউন পালনের জন্য অবহিত করেছি। তবে মানুষের মধ্যে কিছুটা উদাসীনতা রয়েছে। এখন তো কেউ ঘরেই থাকছেই না এ ভাবে চললে সামনে আরো করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে যাবে । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলপনা ইয়াসমিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সেনাবাহিনীতো টহলে আছে।

আগষ্ট ০৩.২০২১ at  ১০:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সরস/জআ