কাজিপুরে পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের ১৯শত গ্রাহক ঋন পরিশোধ করে না

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় (বর্তমানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক) ঋন প্রদানে স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় গ্রাহকদের মাঝে বিতরণকৃত ঋন আদায়ে অগ্ৰগতি না থাকার কথা জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

১ হাজার ৯ শ জন ঋন গ্রহিতার নিকট প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋন পরে রয়েছে। কাজিপুর উপজেলায় ২৯৫ টি সমিতির মোট ১২৩৯০ জন গ্রাহকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। যমুনা নদীর অববাহিকায় বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্টির অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে ছিল।

কিন্ত শুরুতে প্রকল্পটির কাজিপুর অফিসের জনবলের অভাব সহ অফিস সমন্বয়কারি, মাঁঠ পর্য়ায়ের কর্মচারীদের আর্থিক দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঋনগ্রহিতাদের ঋন পরিশোধের অনীহা, দলীয় পরিচয়ের কারণে প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় ১৯০০ শ গ্রাহকের নিকট প্রায় ৪ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে। ফলে ব্যাংকটি ঋণ খেলাপীর দায়ে ব্যাংকিং সুনাম অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
ভুয়া পুলিশ সেজে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত, গ্রেফতার ২
টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে বাইশারী – আলীকদম সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেংগে গিয়ে বেহাল দশা, যোগাযোগ বন্ধ

রবিবার (১ আগষ্ট) অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাজিপুরের পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের মাঁঠ পর্যায়ে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। এরমধ্যে আদায় যোগ্য রয়েছে ২৪ কোটি টাকা। পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মহিন উদ্দিন আরো জানান, কাজিপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য ও ইউ এন ও স্যারের হস্তক্ষেপে অনেক ঋনখেলাপি তাঁদের নেয়া টাকা পরিশোধ করছেন।এবং প্রতিবছরই ঋন খেলাপির সংখ্যা কমে আসছে।

আগামীতে ব্যাংকের জনবল বাড়ানো গেলে কাজিপুরের পল্লি সঞ্চয় ব্যাংক একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং কাজিপুরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষজন স্বল্পসুদে ঋননিয়ে নিজেদের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।

জুলাই ০৩.২০২১ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএসসি/জেএ