টোকিও অলিম্পিকে এবার বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন ছয় জন প্রতিযোগী। শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন জহির রায়হান। এবার বিদায় নিলেন বাংলাদেশের এ স্প্রিন্টার। গেমস শেষ হতে আরও ১ সপ্তাহ বাকি থাকলেও বাংলাদেশ রোববারই বলে দিলো- বিদায়, দেখা হবে প্যারিসে।
বড় বড় ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে বিদায় কথাটা বলতে হয় আগেভাগে। বিশেষ করে অলিম্পিক গেমসের ভরা হাট থেকেই তো বিদায় বলতে হয় লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদদের। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমস দিয়ে বাংলাদেশের আগেভাগে বিদায় শুরু, শেষটা রোববার টোকিও অলিম্পিকে।
কোভিড ১৯ মহামারির এই সময়ে টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন ৬ ক্রীড়াবিদ। এর মধ্যে কেবল আলোচনায় ছিলেন দুই আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।
রোমান সানা এক রাউন্ড টপকালেও দিয়া সিদ্দিকী বিদায় নিয়েছেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। তার আগে শ্যুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি রিও অলিম্পিকের চেয়ে বেশি খারাপ করে ঘরে ফিরেছেন সবার আগে।
দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ যথারীতি হিট থেকে বিদায় নিলেও দুইজনই ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং করায় সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। ২৯ বছর পর অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটারে অংশ নেয়া জহির রায়হানের লক্ষ্যও ছিল নিজের সেরা টাইমিং করা। কিন্তু পারেননি শেরপুরের এ যুবক।
এক কথায় টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের শেষটা ভালো হলো না। ভালো বলতে পদক জেতা বা অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটারের সেমিফাইনালে ওঠা নয়, জহির রায়হানের টাইমিং ভালো করা। কিন্তু রোববার সকালে তিনি হিটে বাদ পড়েছেন ৮ প্রতিযোগির মধ্যে সবার শেষে দৌড় শেষ করে।
জহিরের দৌড় শেষ হওয়ার সঙ্গে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের আরেকটি অলিম্পিক স্বপ্ন।