গাইবান্ধায় নদীগর্ভে ৫৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ফসলি জমি

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন আতংকে দিশেহারা নদী তীরবর্তী মানুষ। ফলে ওই এলাকার ৩ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে ওই এলাকার ৫৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ গাছপালা ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও হুমকির মূখে পড়েছে একটি আদর্শ গ্রাম, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মসজিদ, একটি ঈদগাঁ মাঠসহ কয়েকশ পরিবারের ঘরবাড়িসহ শতশত একর ফসলি জমি। গৃহহীন মানুষগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন উঁচু ফাঁকা স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। হুমকির মুখে পড়া পরিবারগুলো আগেভাগেই ঘরের আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুরা নদী পাড়ে বসে অশ্রুচোখে শুধু ভাঙনের দৃশ্য দেখছে। আর হুমকির সম্মুখীন পিপুলিয়া গ্রামের পরিবারগুলো অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র ও গাছপালাসহ সম্ভাব্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

ওই গ্রামের ভাঙন কবলিত মানুষরা বলেন, নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম কালু বলেন, নদী ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহন করা একান্ত জরুরী। তা না হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার স্কুল, পিপুলিয়া সরকারি আদর্শ গ্রামসহ পিপুলিয়া গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন:
লালপুরে কথিত পাকা বাহিনীর নেতাসহ আটক-৪
শিবগঞ্জে ইউএনও করোনায় আক্রন্ত হওয়ায় রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত

ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানান, এবারের ভাঙনে পিপুলিয়া গ্রামে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। গৃহহীন পরিবারগুলো উঁচুস্থানে অথবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজনের মাঝে জিআর ও ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নগদ অর্থসহ চাল বিতরণ করা হয়েছে।

জুলাই,২৬.২০২১ at ২০:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর