লকডাউনে নৌ চলাচল দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের

লকডাউন ঘোশনা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই অনাশায়ে চলছে নৌযান। নৌকা চলাচল করলেও লকডাউনের ফাঁদে পড়ে দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রিদের। হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। হয়রানী হচ্ছে যাত্রি। নিরব প্রশাসন।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনাঘাট থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর নৌকা চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এবং অনাশায়ে রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে চিলমারী রমনা ঘাটে ভিড়ছে নৌকা। লকডাউনে নৌ চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই নৌকা চলাচল অব্যাহত রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

নৌকা চলাচল অব্যাহত রাখলেও লকডাউনের ফাঁদে ফেলিয়ে যাত্রিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ মালামাল উঠা নামায়ও নেয়া হচ্ছে দ্বিগুন টাকা। লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার সরেজমিন রমনা ঘাটে গিয়ে রাজিবপুর থেকে আসা নৌকার যাত্রি আসরাফুল, মিলনসহ কথা হয় অনেকের সাথে তারা বলেন, ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে তবে চিলমারী থেকে রাজিবপুর ও রৌমারী গমন যাত্রিদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ২শত ৫০ টাকা থেকে ৩শত টাকা করে।

বেলা প্রায় ১২টা রমনা ঘাটে দু’টি নৌকায় যাত্রি উঠানো হচ্ছে, উঠানো হচ্ছে মটর বাইক। কথা হলে যাত্রিরা বলেন, ঘাট কর্তৃপক্ষ কৌশলে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এসময় আঃ রশিদ নামে এক যাত্রি জানান, রাজিবপুর যাচ্ছেন এই জন্য তাকে ভাড়া দেয়া লেগেছে ৩শত টাকা অতচ এর আগে ৮০ থেকে ১শত টাকা করে নেয়া হয়েছিল।

এসময় অনেকে বলেন, লকডাউন অতচ নৌকা তো চলছেন তাহলে কেন যাত্রিদের হয়রানী করা হচ্ছে এছাড়াও ভাড়াও দ্বিগুন নেয়া হচ্ছে। রমনা ঘাটের দায়িত্বে থাকা ফাইদুল ইসলাম বলেন, অনেক টাকা দিয়ে ঘাটটি নিয়েছেন নৌকা বন্ধ থাকলে পুজি হারাতে হবে তাকে। তিনি আরো বলেন, রৌমারী ও রাজিবপুর থেকে নৌকা তো আসছে তাহলে এখন থেকে গেলে সমস্যা কোথায়।

তবে একটি সূত্র জানান, দায়িত্বরত দের ম্যানেছ করেই ঘাট চলছে না হলে কি নৌকা চলতে পারে। এদিকে নৌকা চলাচল অব্যাহত ও যাত্রিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারনে নিরব রয়েছেন প্রশাসন। লকডাউনেও নৌকা চলাচল ও রমনাঘাটে যাত্রিদের ভিড় বেড়েই চলছে ফলে ঝুকি বাড়বে বলে মন্তব্য করেন সচেতনমহল।

কথা হলে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘাটে আমাদের একটি টিম আছে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার কথা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিব করেননি।

জুলাই,২৪.২০২১ at ১১:৩২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর