চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষার ব্লক দিয়ে ঘরের মেঝে নির্মান

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের জন্য তৈরীকৃত ব্লক দিয়ে স্থানীয়দের ঘরের মেঝে প্লাষ্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ব্লকগুলি হরিলুট হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি নেই।এতে সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া প্রকল্পের জরুরী মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

জানা গেছে,কড়ালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদের হাত থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ ৩য় ধাপে বরাদ্দের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর বরাবর কি.মি. ৬৭০৪০ হতে কি.মি.৬৭৪৬০ পর্যন্ত ৬০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষনের কুড়ি/এডিপি/চিলমারী /পি-০৩/০২ প্যাকেজের কাজ পায় চটÍগ্রামের মোহাম্মদ ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স প্রা.লি. নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার চুক্তিমূল্য প্রায় ৩৫কোটি টাকা। কাজ শুরুর তারিখ ১৩.১১. ২০১৯ এবং কাজ সমাপ্তির তারিখ ৩১.০৫.২০২১।

চুক্তি মোতাবেক কাজ শেষ হয়েছে গত ৩১ মে তারিখে। নিয়মানুযায়ী ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর জরুরী প্রয়োজনের জন্য ব্লকসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। বর্তমানে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইডে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গননাকৃত ব্লকগুলি সঠিক তদারকির অভাবে হরিলুট হয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

তদারকির দায়িত্বেথাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে হরিলুটকে অস্বীকার জানান। সরেজমিনে রোববার দুপুরে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের টোন গ্রাম এলাকায় গিয়ে ব্লক হরিলুটের এ চিত্র চোখে পড়ে। আশপাশে যে যার মত ব্লক নিয়ে ঘরের দেয়াল,মেঝে বাধাইসহ বিভিন্ন কাজ করছে।

এসময় দেখা যায় রফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তির ঘরের মেঝেতে ব্লক বিছিয়ে সিমেন্ট বালু দিয়ে প্লাষ্টার করছে এক রাজমিস্ত্রি। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান,ব্লুক যেই নিয়ে যাক তা প্রয়োজনের সময় উদ্ধার করে আনা হবে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ ব্লক নিয়ে গেলে তা খুজে বের করে আনা হবে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যব্স্থা গ্রহণ করা হবে।

জুলাই,১.২০২১ at ১:২২:০২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর