১৬ জুলাই ভোরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলাকালে দুর্নীতির অভিযোগে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ হাসিনাকে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শেখ হাসিনাকে সুধা সদন থেকে বের করে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন। কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেখান থেকে শেখ হাসিনাকে সরাসরি জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত সাব জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তার পূর্ব মুহূর্তে শেখ হাসিনা একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। পরে, আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে অগ্নিঝরা বক্তব্যের মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
পরে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে প্রায় ১১ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জামিনে মুক্তি পান শেখ হাসিনা। পরদিন চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। চিকিৎসা শেষে ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। প্রথমে তাকে ৮ সপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসহযোগী সংগঠন দিনটি ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনাসভা ও সমাবেশসহ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বেলা ১১টায় ১৯ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের চতুর্থ তলায় আলোচনা সভা ও শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারা অন্তরিন দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
জুলাই,১৬.২০২১ at ০৯:৫৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর