শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত হলেও খুশি নন ব্যবসায়ীরা!

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। এতে করে দুই সপ্তাহ ধরে জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। তবে ুঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ধারণা করা যাচ্ছে, এ সময়ে খুলে দেওয়া হতে পারে শপিংমল।

তবে শপিংমল খুলে দেওয়ার সম্ভবনা থাকলেও খুশি নন ব্যবসায়ীরা। ঈদের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে শপিং খুলে দিলেও এটি তাদের জন্য খুব বেশি মুনাফা বয়ে আনবে বলে মনে করছেন না তারা।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সরকার লকডাউনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে দোকান শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আসছে বলে শুনছি। এখন দোকান-পাট খোলা রাখলেই কী, আর না রাখলেই কী? আমাদের কোনো লাভ হবে না। ১৫ জুলাই থেকে দোকান খোলা রাখা হলে সর্বোচ্চ দুদিন কিছু পণ্য বিক্রি হবে। এই দুদিন দোকান খোলা থাকলেও যে কেনা-বেচা হবে, তা দিয়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসও দেওয়া যাবে না? এখন বরং দোকান না খুললেই ভালো।’

দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকেই বলা যায়। প্রতিদিনকার মৃত্যু দুই শতাধিক ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি অতান্ত খারাপ। এই সময়ে সরকার যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবেই চলতে হবে।’

উল্লেখ্য, সোমবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনেষেধ আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে বলেও তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই, ১৩.২০২১ at ১১:৫২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর