অবশেষে ভারতের কাছে টুইটারের নতি স্বীকার

টুইটারে কোনো বিতর্কিত কিংবা উসকানিমূলক টুইট হলে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। তবে এবার ভারতীয় বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নিজেদের নাগরিককে নিয়োগ দিতে বলেছে দেশটি। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা এই চাপের কাছে অবশেষে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে টুইটার ইন্ডিয়াকে। এজন্য দেশটির আদালতের কাছে সময়ও চেয়েছে তারা।

কয়েক সপ্তাহের টানাপোড়েন শেষে শিগগিরই ভারতের নতুন আইটি বিধি মেনে চলার জন্য অন্যান্য নির্বাহীদের পদে নিয়োগ দেবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট টুইটার জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) আদালতে তারা স্থায়ী অভিযোগ কর্মকর্তা (গ্রিভ্যান্স অফিসার) নিয়োগে আদালতের কাছে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত এক ভারতীয়কে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো বিতর্কিত কিংবা হিংসায় উসকানিমূলক টুইট হলে তার কাছে অভিযোগ করা যাবে এবং তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতের নতুন আইটি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য নির্বাহীদের পদগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন দিল্লি হাইকোর্ট। শুনানিতে বলা হয়, নিয়োগ কাজের জন্য সময় নেওয়া যাবে না, তবে ভারতীয়কেই নিয়োগ দিতে হবে। এর পরই সময়সীমা চেয়ে নেয় টুইটার।

বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে টুইটার ইন্ডিয়া জানায়, ১ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করা হবে। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে একজন অন্তর্বর্তীকালীন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হবে।

তারা জানিয়েছে, তিনটি পদের জন্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ হবে আট সপ্তাহের মধ্যে। পদগুলো হলো একজন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, একজন রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার এবং একজন নোডাল কন্ট্যাক্ট পারসন। টুইটার জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে এ পদগুলোর জন্য আবেদন গ্রহণ করছে।

আদালত জানিয়েছে, কোনও নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সরকার এসব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাধীন।

যদিও টুইটার বলেছে, টুইটার ২০২১ সালের বিধি মেনে চলার চেষ্টা করছে, টুইটার তার বিধিমালার বৈধতা, বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।

আরো পড়ুন:
কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হলো কলম্বিয়া
রূপগঞ্জ ট্রাজেডি: নিহতের প্রত্যেক পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা

টুইটার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতীয়তাবাদী সরকারের মধ্যে এই বছরের শুরুতে বিবাদ শুরু হয়েছিল। ওই সময় মাইক্রোব্লগিং জায়ান্টকে নতুন কৃষি সংস্কারের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত হ্যাশ ট্যাগ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

জুলাই,১০.২০২১ at ১০:২৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর