পাবনার বেড়ায় চায়না দোয়াইর জালে অভিযান,উদ্ধার কৃত মালামাল পুড়িয়ে ধ্বংস

পাবনার বেড়া পৌরসভাধীন ২ নং ওর্য়াড বনগ্রাম উত্তর এ চায়না দোয়াইর জাল তৈরীর কারখানার সন্ধান মিলেছে ।২ নংওর্য়াড বাসিন্দা (১)বিশ্বজিৎ কুমার হালদার, পিতা মৃত পরেশ হালদার,(২) ঈশ্বর হালদার, পিতা মৃত শিমত হালদার নিজ বসতবাড়িতে এ কারখানা গড়ে তুলেছিলেন।

সাংবাদিকদের সহযোগীতায় ৯ জুলাই শুক্রবার বিকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:সবুর আলী কারখানা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ৫০০ পিছ আয় তাকার চিকন জি আই তারের তৈরী ফ্রেম যাহা দোয়াইর জাল তৈরি সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহৃত।

অনুমান ৩০০ ফুট নাইলন সুতার জাল যাহা চায়না দোয়াইর জাল তৈরীর সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহৃত এসব মালামাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামালা/জরিমানা কারা হয়নি।

কারখানা গুলোতে প্রতিদিন শত শত মিটার এ চায়না দোয়াইর জাল তৈরী হচ্ছিল। এ জাল বেড়ার হাট বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারের ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছিল। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন কৌশলে মাছ ধরে থাকেন জেলেরা।অনেকে আবার শখের বসে ও মাছ নিধন করে থাকেন।

তবে এবারের মৌসুমে বাজারে এসেছে চায়না দোয়াইর জাল। বেড়ায় এই চায়না দোয়াইর জাল বিস্তার লাভ করেছে। বিশেষ করে হুরা সাগর, পদ্মা নদী এই অঞ্চলে মাছ বেশি পাওয়া যায়। নদ-নদী খাল বিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার শুরু হয়েছে চায়না দোয়াইর জালের ব্যবহার। এটি কারেন্ট জালের চেয়েও সূক্ষ্ম।

আরো পড়ুন:
শার্শায় ৪ কেজি গাঁজা ও মোটরসাইকেল সহ আটক-২
ভোলার দৌলতখানে বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যবসায়ীর নিহত

এই জালে মা মাছ সহ পোনামাছ গুলো সহজেই ধরা পড়ছে। আর এই চায়না দোয়াইর জাল ব্যবহার সম্পকে অনেকেই জানেন না এর সুফল- বিফল কি। অবাধে এই জাল দিয়ে মা মাছ মারার কারণে এ বছর মাছের অভাব দেখা দিতে পারে। হুরা সাগরে /সন্ধা হলেই এই চায়না দোয়াইর এর ফাঁদ পাতে কিছু অসাধু জেলেরা।ছোট মাছ থেকে শুরু করে শামুক,ঝিনুক,পোকামাকড়,ব্যাঙ,কাঁকড়া, সাপ কোনো কিছুই এর হাত থেকে রক্ষা পায়না।

জুলাই,০৯.২০২১ at ২১:৩৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর