হাতীবান্ধায় দুটি প্রাইমারী স্কুলের বেহাল দশা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের উদাসিনতায় দুটি প্রাইমারী স্কুলের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারী রাজস্ব।

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নেই পদচারনা। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলোর অফিস খোলা থাকায় পরিবেশ ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও প্রাইমারী স্কুলগুলো দেখভালের অভাবে শোচনীয় অবস্থা। বিশেষ করে প্রধান শিক্ষকের উদাসিনতা ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে প্রাইমারী স্কুলে এখন স্থানীয়দের ফসলী জিনিসপত্র রাখা ও তাস খেলার অভায় অরণ্য হয়েছে।

৫ জুলাই(সোমবার) সরজমিনে উপজেলার পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায়, একটি শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা এবং সেখানে কতিপয় লোকের ভুট্টার মোচা,ফসলী অন্যান্য জিনিস পত্র ও বারান্দায় গরু,ছাগলের বিষ্ঠা। এছাড়া পাশের আর একটি ভবনে ভুট্টার খড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ বারান্দা ভরপুর। সরকারী রাজস্ব ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও মেইন গেট খোলা।বিদ্যালয়টিতে ফসলী জিনিস পত্র রাখায় চুনকাম ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেইনটিং ক্ষতিগ্রস্থ সহ পুরো পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। সেখানে শ্রেনী কক্ষের দরজা খোলা থাকায় মাদক সেবনসহ যে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের আশংকা।

এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দার আলী ও শাহনাজ বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ।মাস্টার,দপ্তরী কেউ খোজ খবর নেয়না, রুম খোলা তাই আমারা এসব রাখছি আর গেট খোলা থাকায় স্থানীয়রা গরু, ছাগল বেধে মাঠে ঘাস খাওয়ায়। কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী বলেন,আমরা এলাকাবাসী স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রধান শিক্ষক কে বললে তিনি উল্টো মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখান।

একই দিনে খানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায়, মেইন গেট খোলা, স্থানীয় কিছু লোক দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় বসে তাস খেলছে। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি দেয়াল থাকলেও দেয়ালের নিচে ২/৩ ফিট করে কোথাও কোথাও ফাকা আবার কোথাও মাটি ধষে গিয়ে ফাকা হওয়ার কারনে চতুর পাশ থেকে গরু,ছাগলসহ মানুষজন অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে বিদ্যালয়টির পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি স্থানীয়দের তাস খেলার কারনে যুবসমাজ বিপদগামী হতে পারে।

এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার ছবির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন হয়তো এসব রেখেছে। এছাড়া খানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উক্ত বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো: জাকির হোসেন বলেন এ বিষয়ে জানিনা, এখনই খোঁজ নিচ্ছি।

আরো পড়ুন:
শিবগেঞ্জ মেয়র মানিকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ
দেশে কোরবানির হাট মাতাবে ঝিনাইদহের রাজা-বাদশা

উল্লেখ্য যে, পশ্চিম সারডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহায়ক কাম নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও যথাযথ কর্ম পালন না করায় বিদ্যালয়টি কতিপয় লোকের গোডাউন ঘরে পরিনত হয়েছে।

জুলাই,০৬.২০২১ at ১৯:৪০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর