মাদারীপুরে গ্রামীণ হাট-বাজারেও অভিযান, ৭৭ মামলায় ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা

মাদারীপুরে লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা। জেলায় লকডাউনের ৩য় দিনে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়াসহ সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করায় প্রথমে সর্তক করা হচ্ছে।

এরপর যদি না শোনে তাহলে তাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে। প্রশাসনের যৌথ অভিযান এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ হাট-বাজারেও চলছে। ৪ উপজেলায় শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৭ মামলায় ৮৪ হাজার ৭‘শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা সদর ও সকল উপজেলা শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।

মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, সংযোগ সড়ক ও শহরের মধ্যে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে বেশকিছু রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঔষধের দোকান যথারীতি খোলা। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ নেই। যানবাহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্তের রোগী আসতে পারছে না। তবে জরুরী রোগীবাহী গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমের ফলে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। মাদারীপুরের ৪ উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে সহযোগিতা করছে। লকডাউনের ফলে জেলার ঔষুধের দোকান, ফলের দোকান, কাঁচা বাজার খোলা রয়েছে। শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ রয়েছে। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়নি।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াস, শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান, রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনিসুজ্জামান, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান, সদরের এসিল্যান্ড হোসনেয়ারা তন্নি, শিবচর এসিল্যান্ড এম. রাকিবুল হাসান, রাজৈর এসিল্যান্ড রেজওয়ানা কবীর, কালকিনি এসিল্যান্ড সাইফুল ইসলাম. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেক্সোনা খাতুন, আব্দুল্লাহ আবু জাহের, ফাতেমা জান্নাত, মৌসুমি খানম ৪ উপজেলায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করছেন।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার সদস্যরা কাজ করছে। আমাদের মাদারীপুর অন্যান্য জেলা থেকে লকডাউনে পরিস্থিতি অনেক ভাল।’

আরো পড়ুন:
চিরিরবন্দরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে পিতার মর্মান্তিক মৃত্যু, ঘাতক ছেলে আটক
শৈলকুপায় প্রাইভেট শিক্ষক কর্তৃক ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে আমরা সচেতন করছি। সাধারণ জনগণ এবারের লকডাউন মেনে চলছে। জনগণ কিন্তু জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। লকডাউন কার্যকর করতে আমাদের ১৬টি ভ্রাম্যমান আদালতের টিম কাজ করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সদস্যরা।