শ্রীপুরে গড়াই নদীর ভাঙ্গনে বিলিন প্রায় পনেশো একর জমি, বসতভিটা

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের ঘসিয়াল মৌজার পনেরো শ একর জমি, বসতভিটা, ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা, দুইটা ঈদগাহ সহ অনেক স্হাপনা গড়াই নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। অনেকেই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্হাপন করেছেন। অর্ধশত বছর ধরে চলমান নদী ভাঙ্গনে ঘসিয়াল মৌজার অজিত শেখের এক মাত্র বসতভিটাটি অবশিষ্ঠ রয়েছে। যা ব্যাপক হুমকির মুখে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে রশিদ বিশ্বাস, শাহীন শেখ, ইদ্রিস শেখ, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম বিশ্বাস, রসুল বিশ্বাস, বিপ্লব শেখ সহ ইতিমধ্যে ৩৫ টি বসতভিটার কোন চিহ্নই চোঁখে পড়ে না। হুমকির মুখে চর-চৌগাচী গ্রামের শতাধিক বসতভিটা। ইতিমধ্যে পনেরো হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত করে নদীতে ফেলা শুরু হয়েছে।

গড়াই নদীর উত্তাল স্রোতে এখনো ভাঙ্গছে নদীর পাড়। এলাকাবাসির অভিযোগ, গেল অর্ধশত বছরেও নদী ভাঙ্গন রোঁধে নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ দেওয়ার দাবি এলাকাবাসির।

ভুক্তভোগি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম বিশ্বাস জানান, গত পঞ্চাশ বছরে ঘসিয়াল মৌজার প্রায় সকল অংশটুকু নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গিয়েছে। এখনো নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নদীতে দ্রুত বাঁধ না দিলে আমাদের আরো বড় ধরনের ক্ষতি হবে। আমাদের দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি।

সাব-কন্টাক্টার আনোয়ার হোসেন জানান, ইতিমধ্যে নদীর ভাঙ্গন রোধে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পনেরো হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত করে, নদীতে ফেলা শুরু হয়েছে।

নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটির সভাপতি সোলাইমান মোল্যা জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগেও কাজ এসেছিল কিন্তু কোন কাজ হয়নি। সোমবার সকালে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত জিও ব্যাগের মাধ্যমে বাঁধ নির্মানের আশ্বাস দিয়েছেন।

দারিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কানন জানান, ইতিমধ্যে ড্রেজিং ও বালু ভর্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। আমি এই কাজের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর ভাইকে দারিয়াপুর ইউনিয়নবাসির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

আরো পড়ুন:
ডেল্টাই শেষ, ক্ষমতার শেষ প্রান্তে করোনা
লকডাউন কার্যকর করতে নেত্রকোনায় ১৩টি পয়েন্ট নির্ধারণ

এ বিষয়ে জানতে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার জাহান জানান, ইতিমধ্যে পনেরো হাজার জিও ব্যাগ পাঁচশত মিটারের মধ্যে ফেলা শুরু হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসক একটি কমিটি গঠন করে দিবেন এ মর্মে আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। যতগুলো জিও ব্যাগ প্রয়োজন তা পর্যায়ক্রমে ফেলা হবে।