চট্রগ্রামের ছাত্রদল-যুবদলের ৪ নেতাকর্মী যশোরে নিহত

প্রাইভেট কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে যশোরে ৪ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নিমতলী ধোপাখোলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই প্রাইভেট কারের যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান একজন। হতাহতরা ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মী ও তাদের বাড়ি চট্রগ্রাম জেলায়। তারা কুরবানির জন্য গরু কিনতে বেনাপোল যাচ্ছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছেন।

পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন রাফসান চৌধুরী সাদনাম (৩০)। নিহত অন্যরা হলেন চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার মোহাম্মদ নয়ন (৪০), একই এলাকার মুরসালিন (৩৮) এবং মোহাম্মদ জনি (৪০)। আহত ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দিন (৪০)। তাদের বাড়ি চট্রগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় বলে আহত শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন।

হতাহতরা অধিকাংশই যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতি করেন বলে জানিয়েছেন যশোর জেলার স্ব-দলের নেতারা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সাদনাম চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর। তার বাবা ইকবাল চৌধুরী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

যশোরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রকিবুজ্জামান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বেনাপোলমুখী প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ- ১৫-৭০৫৪) ও একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনজন। আহত হন দুইজন। তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান একজন।

হাসপাতালের চিকিৎসক অভিজিৎ রায় জানান, মাথায় আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়েছেন হাসপাতালে আনা ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির মাথায় ও হাতের কনুইয়ে আঘাত রয়েছে। তবে, তিনি শংকামুক্ত।

আহত শাহাবুদ্দিন জানান, তারা পাঁচজন কুরবানির জন্য গরু কিনতে বেনাপোল যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হন শনিবার। তিনি ইলেকট্রনিক্র ব্যবসায়ী বলে জানান।

শাহাবুদ্দিন চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ।