যশোরের সকল ক্লিনিক হাসপাতালে একটি ফ্লোর করোনা রোগীদের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত

যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। আতঙ্কে দিন কাটছে যশোরবাসীর। এর থেকে রক্ষার জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছে জেলা প্রশাসন। করোনা রোগীদের জন্য যশোরের সকল ক্লিনিক হাসপাতালে কমপক্ষে একটি ফ্লোর রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রশাসন।

বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি যশোরের মানুষকে বাঁচাতে গণবিজ্ঞপ্তি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে যশোর জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন চলবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবেন।

এছাড়াও, প্রতিমন্ত্রী জেলা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যশোরের সকল ক্লিনিকে একশ শয্যার তালিকা প্রশাসনের নিকট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, প্রশাসন আগামী সাত দিনের জন্য মসজিদে ওয়াক্তিয়া নামাজে পাঁচ জন ও জুম্মার নামাজে ২০ জনের মধ্যে সীমীত রেখে নামাজ আদায়ের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য মসজিদের কমিটির লোকজনের কাছে অনুরোধ জানাই। এছাড়াও, দলের নেতাকর্মীরা বিষয়টি মনিটরিং করবেন। আমরা যশোর জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকদিন বাড়িতে নামাজ আদায় করবো।

জেলা প্রশসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সিভিল সার্জন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যশোর পৌরসভার মেয়র, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, প্রেসক্লাব সভাপতি, বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ করোনা কমিটির অন্যান্য সদস্য, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন৷

সভায় বর্তমান করোনার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়৷ সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, বর্তমানে যশোর জেলায় ৩১১৬ জন করেনার অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। সদর পৌরসভার ভেতরে এদের সংখ্যা ৯৩২ জন। এসময় করেনা রোগী বৃদ্ধির হার বিবেচনায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও বেসরকারি জনতা হাসপাতাল ছাড়াও আরও একশ শয্যা করোনার জন্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছেন, সভায় প্রতিটি ক্লিনিক তাদের হাসপাতালের কমপক্ষে একটি ফ্লোর করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলার হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যা থেকে বাড়িয়ে দশ শয্যায় উন্নীত করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।