গাবতলীতে পানি নিস্কাশনের খালের মুখবন্ধ করায় গাছসহ পার ধ্বসে শ্মশান হুমকির মুখে

বগুড়ার গাবতলীতে অবৈধভাবে পানি নিস্কাশনের খালের মুখবন্ধ করায় পাশের গাছসহ পারধ্বসে মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। শ্মশান রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ্যাসিল্যান্ড ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছে। জানাগেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান ঘেঁষে চাউল কাটা খাল অতিবাহিত হয়ে গেছে।

এই খালে সুদুর মাদলা অদ্দিরগোলা হতে পানি গড়িয়ে তা নিস্কাশন হয়ে মহিষাবান শাখা ইছামতি খালে বাহিত হয়। এই খালের কোল ঘেঁেষ অবস্থিত মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান। শ্মশানের দক্ষিনপার্শ্বে খালের মধ্য মহিষাবান পুর্বপাড়ার জনৈক মোহম্মদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, খালের মুখ বন্ধ করে পানি গতিপথ বন্ধ করে দেয়। সে রাতে উক্ত খালের মধ্য মাছ শিকার করে বলে শ্মশান কমিটির লোকজন অভিযোগ করেন। খালের মুখবন্ধ করার কারনে পানি নিস্কাশন হতে না পারায় শ্মশানের উত্তর পার্শ্বে কয়েকটি গাছসহ পার ধ্বসে শ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোন সময় মহিষাবান কেন্দ্রিয় মহাশ্মশান খালে বিলিন হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ঢিলেঢালাভাবে চলছে ১ম দিনের লকডাউন
জয়পুরহাটে আনসার সদস্যদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

এঘটনায় শ্মশান কমিটির সভাপতি নিকুঞ্জ কুমার পাল ও সাধারন সম্পাদক শংকর কুমার রায় জানান, খালের মুখবন্ধ করার কারনে শ্মশান হুমকির বিষয়টি জনৈক নজরুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কোন কর্নপাত করেনি। ফলে পানি নিস্কাশন হতে না পারায় শ্মশানের গাছসহ পাড়ধ্বসে শ্মশান হুমকির মুখে পড়েছে। এঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে বিষয়টি শ্মশান কমিটির লোকজন প্রশাসনকে জানালে, ২২ জুন মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রওনজ জাহান, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোছা. সালমা আক্তার লিজা, স্থানিয় মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় শ্মশান কমিটি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।এব্যপারে অভিযুক্ত জনৈক নজরুল ইসলামের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে তার কোন দেখা না পাওয়ায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

জুন ২২.২০২১ at ১৭:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেশ/এইচআর