প্রকৌশলীকে পেটালেন ছাত্রলীগের দুই নেতা

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী অনুজ কুমার দেকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সড়ক বিভাগের উপসহকারীর কক্ষে প্রবেশ করে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনন্দ মিলে তাকে মারধর করেন বলে জানান তিনি।

অনুজ কুমার দে বলেন, সংস্কার কাজের জন্য পাথর, বালি, জ্বালানী কাঠ, ব্যাগ ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে শহীদুল এন্টারপ্রাইজ দরপত্র পায়। পরে সেই কাজ বারিকুল ইসলাম লিজন নেয়। গত ১৮ জুন মালামাল সরবরাহের শেষ তারিখ ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০-৩০ ভাগ মালামাল সরবারাহ করেছিল যার মূল্য ১২-১৩ লাখ টাকা হতে পারে। পরে শতভাগ মালামাল সরবরাহের কথা বলে ৩৯ লাখ টাকার বিল সাবমিট করে। আমি তাদের যতটুকু মালামাল সরবরাহ করেছেন সেই পরিমাণ টাকা দিতে চাই এর বেশি না। কিন্তু লিজন ও আনন্দ পুরো টাকা দিতে হবে বলে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করে। পরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লিজন আমাকে আমার কক্ষেই মারধর শুরু করে। এসময় আমি চিৎকার করলে, আমার অফিসে অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মেহেরপুর সদর থানার এস আই অর্জুন কুমার জানান, খবর পেয়ে আমরা সড়ক বিভাগে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে লিজন জানান, আমাদের কাজের বিলের চেক দিতে অনুজ দে তালবাহানা করে আসছে দির্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, কিন্তু মারধরের ঘটনা মিথ্যা।

এ বিষয়ে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মারধরের বিষয়ে শুনেছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।