কোহলিদের হাতে কালো ব্যান্ড, কারণ জানাল বিসিসিআই

হ্যাম্পশায়ার বোল স্টেডিয়ামে কোহলি-কেন উইলিয়ামসন টসে নামার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যায় দু’দলের ক্রিকেটারদের। সেই সময়েই নজরে আসে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কালো ব্যান্ড বেঁধেছেন। পরে কালো ব্যান্ড পরার কারণ জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সাউদাম্পটনে মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে শনিবার (১৯ জুন) নির্দিষ্ট সময় শুরু হয় খেলা।

হ্যাম্পশায়ার বোল স্টেডিয়ামে কোহলি-কেন উইলিয়ামসন টসে নামার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা যায় দু’দলের ক্রিকেটারদের। সেই সময়েই নজরে আসে ভারতীয় ক্রিকেটাররা কালো ব্যান্ড বেঁধেছেন। পরে কালো ব্যান্ড পরার কারণ জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

ভারতের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট মিলখা সিংয়ের মৃত্যুতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন কোহলিরা হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে খেলছেন বলে টুইটারে জানিয়েঠে বিসিসিআই।

ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজেও টুইট করে মিলখাকে সম্মান জানান। লিখেছেন, ‘একজন কিংবদন্তি যিনি, গোটা দেশকে উৎকর্ষের চূড়ায় ওঠার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। কখনো হাল না ছেড়ে স্বপ্নকে ধাওয়া করো। শান্তিতে থাকুন মিলখাজি। আপনি সর্বদাই স্মরণে থাকবেন।

অ্যাথলেট মিলখা সিং শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে মারা গেছেন। আর তাই শনিবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত কালো ব্যান্ড পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জটিলতায় ৯১ বছর বয়সে মারা যান মিলখা সিং। গত ২০ মে কোভিড আক্রান্ত হন ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিং। ২৪ মে প্রথমে একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর ৩০ মে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মিলখার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকায় তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৩ জুন।

গত বৃহস্পতিবারই (১৭ জুন) তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। কোভিড আইসিইউ থেকে বর্ষীয়ান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে হাসপাতালের আইসিইউ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু এদিন ফের তার অবস্থার অবনতি হয়। রাতে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন ভারতের অন্যতম এই অ্যাথলেট।

১৯৫৮ সালে কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন, ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে ৪০০ মিটার ফাইনালে চতুর্থস্থান অর্জন করেছিলেন মিলখা সিং। এছাড়া, এশিয়ান গেমসে চারবারের সোনার পদকজয়ী অ্যাথলেট ছিলেন তিনি।