ফুলবাড়ীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিডি ও রেশন কার্ডে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হযরত আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর নামে ভিজিডি ও রেশন কার্ড এবং পিতামাতা, ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, মামা, খালা, খালু মামাত খালাত ভাইবোন সহ নিজ পরিবারের ২০ জনের নামে রেশন কার্ড বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী ।

অভিযোগে জানা গেছে, ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রী মমিনা বেগমের নামে দশ টাকা কেজির চাউলের রেশন কার্ড রয়েছে । তারপরও ২০২১-২০২২ ভিজিডি চক্রে তিনি স্ত্রীর নাম তালিকাভুক্ত করে চাউল উত্তোলন করছেন যাহার ক্রমিক নং ০৮।

এ ছাড়াও ওই ইউপি সদস্যের পিতা আব্দুল খালেক , মা হাজরা বেগম, ছোট ভাই হুজুর আলী, অপর ছোট ভাই মজিবুল হক, মজিবুলের স্ত্রী লাভলী বেগম, মামা গোলাপ হোসেন, মামি ছকিনা বেগম, খালা হালিমা বেগম, খালু শাহজালাল, খালাত ভাই হারুন, খালাত ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাতি বেগম, মামাত ভাই শাহিন, মামাত ভাইয়ের স্ত্রী মর্জিনা বেগম এবং হযরত আলী নিজে সহ পরিবার ও আত্নীয় স্বজনদের ২০ জনকে দশ টাকা কেজির চাউলের রেশন কার্ড প্রদান করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। ইউপি সদস্যের পরিবার ও আত্নীয় স্বজনদের মধ্যে সরকারী সহায়তার অধিক সংখ্যক কার্ড থাকায় ওই এলাকার দুস্থ্য জনসাধারণ বঞ্চিত হয়েছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

আরো পড়ুন:
রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু

এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য হযরত আলী জানান, এই রেশন কার্ডগুলো পুর্বের চেয়ারম্যানের আমলে হয়েছে। আর ভিজিডি কার্ডের তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও আমি চাউল তুলিনি। ইউনিয়ন পরিষদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।