পরী মনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি

অভিনেত্রী পরী মনি ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ যে অভিযোগ করেছেন সে ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। রবিবার (১৩ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের রূপনগর থানা থেকে পুলিশের কর্মকর্তারা তার বাসায় গিয়েছিলেন অভিযোগ রেকর্ড করার জন্য।

রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, রাতে লম্বা সময় তার অভিযোগ লেখা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল আমাদের এলাকায় পড়লে ধর্ষণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মামলা আমরা নেব। যদি সাভারের মধ্যে পড়ে তাহলে তারা নেবে। এখন ঘটনাস্থল ঠিক কোন থানার মধ্যে পড়েছে যেটি যাচাই করা হচ্ছে। তাদের কাছে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেননি অভিনেত্রী।

বনানী থানা পুলিশকে এজাহারে পরী মনি বলেছেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত/আটজনের একটা গ্রুপ ছিল। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ মাহমুদ)। তিনি বোর্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। পরী মনিকে চড় থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে তার পরনের পোশাক মদ্যপ অবস্থায় টেনে ছেড়া হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা জিমিকে গলায় একজনের শার্ট পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

গতকাল পরীমনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ তুলে বেশ আলেঅচনার জন্ম দিয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে তিনি বনানী থানায় গিয়ে কোন সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন।

এর আগে রবিবার রাতে ফেসবুক পোস্টে বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন পরী মনি। যাতে তিনি অভিযোগ করেন যে সম্প্রতি তাকে ‘ধর্ষণ এবং হত্যা করার চেষ্টা’ করা হয়েছে। বনানী থানার পুলিশ রবিবার বলেছিল, তারা কোনো অভিযোগ পায়নি। রবিবার রাতেই বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। এ সময় তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন।

অভিযোগে তিনি জানান, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তিনি বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন, সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি। এরপরে গত চারদিনেও তিনি বিভিন্নভাবে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছেন। একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তাকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।

আরো পড়ুন:
গাইবান্ধা সদরের ওসি মাহফুজার রহমানকে বদলি

পরীমনি বলেন, চারদিনে তার ভাষায়, তিনি “কোথাও বিচারের কোন আশা” পাননি। সেজন্যই ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন।