শ্বশুর বাড়ি গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ চতুর্থ বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন শাজাহান আলী (৩৫) নামে এক ইউপি মেম্বার। গণধোলাইয়ের পর তাকে গাছে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। রোববার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের আন্দালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাজাহান আলী উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।

এলাকাবাসী জানান, নারী লিপ্সু ইউপি মেম্বার শাজাহান আলীর তিন স্ত্রী থাকলেও তাদের না জানিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি রিফায়েতপুর ইউনিয়নের আন্দালবাড়িয়া গ্রামের এক মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। এ নিয়ে শাজাহান মেম্বারের স্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে (শ্বশুরবাড়ি) আসেন শাজাহান। এ সময় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে গণধোলাই দেয়ার পর গাছে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় দিগলকান্দি ক্যাম্পের পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

দিগলকান্দি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হামিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, শাজাহান মেম্বারের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। তারপরেও তিনি এক অবিবাহিত মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রামবাসী পিটুনি দেন। পরে তাকে একটি খেজুর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় মুচলেকা নিয়ে ইউপি মেম্বার শাজাহানকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে করোনা সামগ্রী দিলো আ.লীগ
লালপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

এ ব্যাপারে রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু বলেন, শাজাহান মেম্বারকে গ্রামবাসী গাছে বেঁধে পেটানোর ঘণ্টাখানিক পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। সে একটি মেয়েকে বের করে নিয়ে গেছে, আর এ কারণে তাকে পেটানো হয়েছে এর বেশি কিছু আমার জানা নাই। এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য গণধোলাইয়ের শিকার ইউপি মেম্বার শাজাহান আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন খোলা পাওয়া যায়নি।