ভূঞাপুরে নতুন মাজার তৈরি নিয়ে মসজিদের ইমাম লাঞ্ছিত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নতুন মাজার তৈরী করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের ইমাম লাঞ্চিত হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শালিশে উপস্থিত হয়নি কথিত মাজার ভক্তরা।

স্থানীয়রা জানায়, মাদারিয়া গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে জয়নাল ফকির (৬০) দীর্ঘদিন ভবঘুরে অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে পাশ্ববর্তী গারাবাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রুবেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে দুই বছর অবস্থান করার পর গত রমযানের ২ দিন আগে মারা গেলে রুবেলের বাড়ির সাথেই তাকে কবরস্থ করা হয়। আর এই কবরকে মাজার হিসেবে পরিচয় দেয়ার প্রচার প্রচারণা শুরু করেন তার অনুসারীরা। অনুসারী গোলাম মোস্তফা, রঞ্জু, কামাল, রুবেলসহ বেশ কিছু লোকজন কবরকে বাঁধাই করে লাল নিশান লাগিয়ে জিকির সহ ঢোল বাজিয়ে রাত ব্যাপী গান বাজনা করেন। কথিত মাজারে জিকির ও গান বাজনার আড়ালে চলে রাত ভর গাজাসহ বিভিন্ন নেশার আসর।

মাজারের নামে অনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় এবং গত ২৮ মে শুক্রবার উপজেলার গারাবাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. শরিফুর ইসলাম জুম্মার নামাজ শেষে ইসলামী দৃষ্টিতে শরীয়ত মোতাবেক বয়ান পেশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কথিত মাজার পুজারী রুবেলসহ তার অনুসারীরা ইমাম কে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ ইশরাত জাহান স্থানীয় ই্উপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম দুদু, আইয়ুব আলী মোল্লাহ ও মনিরুজ্জামানকে নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে আলোচনা করে বিষয় টি স্থানীয় ভাবে সমাধান করার নির্দেশ দেন।

৫ জুন শনিবার উপজেলার ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে এক শালিশ বৈঠকে ভূঞাপুর উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মওলানা শহীদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান, মওলানা শহীদুল ইসলাম আন্দিপুরী, মুফতি নাজিম উদ্দিনসহ এলাকার শত শত মুসুল্লীগণ উপস্থিত হলেও কোন মাজার পূজারী সেখানে হাজির হয়নি।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন

উপস্থিত কথিত মাজারের নিশান ও গাজার আসার ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত দেন স্থানীয়রা এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে কথিত মাজার পুজারীদের ইমামের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন।