স্বামী নিখিল জৈনের নয়, নুসরাতের গর্ভের সন্তান তাহলে কার?

নুসরাত জাহানের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা তৈরি হতেই বেজে চলছে স্বামী নিখিল জৈনের মুঠোফোন। অথচ গোটা বিষয় নিয়ে বিন্দু বিসর্গ ধারণা নেই নিখিলের। বরং গোটা ঘটনায় বেশ খানিকটা তিতিবিরক্ত। নুসরাতের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে বারবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে নিখিল। নুসরাতের পেটে যে সন্তান, তার পিতা তিনি নন বলে জানালেন। বরং তিনি এ খবরে হতবাক।’

নুসরাতের মা হওয়ার জল্পনা সংবাদ মাধ্যমের তরফেই কানে পৌঁছেছে নিখিলের। গোটা ঘটনায় হতবাক তিনি, তার চেয়েও বেশি হতবাক এই নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়ায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমি জানিও না নুসরাত মা হতে চলেছে। আমরা কেউ যোগাযোগ রাখি না। নুসরাত আর আমি অনেকদিন থেকেই আলাদা থাকি। নয়-নয় করে ছ’মাস হয়ে গেল’।

নুসরাত এবং যশের সম্পর্কটা এখন অনেকটা খুল্লমখুল্লা। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যশকে নিজের প্রেমিক হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছেন নুসরাত। হামেশাই একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তারা। কখনও লং ড্রাইভ, কখনও শ্রাবন্তী-তনুশ্রীদের সঙ্গে পার্টি করা। গত বৃহস্পতিবার রাতেও একসঙ্গে পার্টি করেছেন তারা। সেই ছবিও উঠে এসেছে নেটমাধ্যমে। সাদা পোশাকে সেজে ‘যশরত’ জুটি হাজির ছিলেন কোনো গেট-টু-গেদার-এ।

পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে যশের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন- ‘যশের সঙ্গে কয়েক যুগ পর দেখা’। সেই ছবি নুসরাত তুলে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বিরসা। এই পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন যশ। যশের প্রথম ছবি গ্যাংস্টারের পরিচালক বিরসা, নুসরাতের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন ক্রিসকস ছবিতে।

ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন নুসরত আর নিখিল। তাদের সম্পর্ক নিয়েও তো জল্পনা কম হয়নি। দু-বছর আগের ২৮ মে নিখিলের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন নুসরাত। সম্পর্কের তারটা ছিঁড়ে গেলেও এখনও নুসরাতের সামাজিক মাধ্যমের দেওয়াল থেকে কিন্তু মুছে যায়নি সেই পোস্ট।

অতীত ভুলে নিখিলের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন নির্বাচনী লড়াইতে বিশাল ভোটে জয় লাভের পরেই। ধর্ম আলাদা হওয়ায় রীতিমতো লড়াই করে বিয়ে করেছিলেন। তাও সূদূর বোদরুমে। তুরস্কের সাজানো শহরে রাজকীয় সেই বিয়ে উঠে এসেছিল সংবাদ শিরোনামে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভালোবাসাও যেন ফুরুত করে গায়েব। নতুন প্রেমলীলায় মজে উঠলেন নুসরাত জাহান।

মা হওয়ার জল্পনা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত, তবে নিখিল এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন- এখন যে নতুন সঙ্গীর সঙ্গে ও আছে, তার সঙ্গেই ভালো থাক। আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমার পরিবারের মূল্যবোধ নিয়ে আমি ভালো আছি।