ভাঙ্গছে তিস্তার পাড়, বিলিন হচ্ছে শতশত বাড়িঘর

পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে যেন রাক্ষসী রুপ নিয়েছে তিস্তা। নিমিশেই গিলে খাচ্ছে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো। সরানোর সময় নেই, চোখের সামনেই ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর, তছনছ হচ্ছে সাজানো গোছানো সংসার।

ভাঙ্গনের আওয়াজে থেমে থেমে কেঁপে উঠছে তিস্তার পাড়। বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। চোখের জলে ভাসছে তাদের বুক। নজর নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের। মিলেনি কোন সহায়তা। ভাঙ্গন প্রতিরোধেও নেই কোন উদ্যোগ।

পরিকল্পনা অভাব আর সময় মতো কাজ না করায় ভাঙ্গনের তীব্রতা এই জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকেই দায়ি করছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কুড়িগ্রামের চিলমারীর সীমান্তবর্তী সুন্দরগঞ্জ কাশিম বাজার এলাকায় তিস্তার থাবায় বাড়িঘর জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। এই অঞ্চলটি তিন উপজেলা কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুর ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জকে রেখেছে বন্যা ও ভাঙ্গনের হুমকির মুখে।

ভাঙ্গনের তীব্রতায় গত কয়েকদিনে শতশত বাড়িঘর ও শতশত একর জমি ইতি মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে তিস্তার পেটে। ভাঙ্গনের তীব্রতার কারনে মানুষজন বাড়িঘরও সরিয়ে নিতে সময় পাচ্ছেনা। নিমিশেই সব গিয়ে খাচ্ছে তিস্তা। চোখের সামনে বাড়িঘর যাচ্ছে ভেসে তা দেখে চোখের জ্বলে ভাসছে তাদের বুক।

নিমিশেই তছনছ হচ্ছে সাজানো গোছানো শতশত সংসার। সাজানো গোছানো সংসার চোখের সামনেই ভেসে যেতে দেখে অসহায় দৃষ্টিতে নদীর পানে চেয়ে থাকছে পরিবার গুলো। ভাঙ্গনে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। রোদ, বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিছে করছে মানবেতর জীবন যাপন। ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়লেও যেন ঘুমিয়ে আছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ দায়িত্বরতরা।

ভাঙ্গন প্রতিরোধে নেই কোন উদ্যোগ, অসহায় ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলোর ভাগ্যে মেলেনি কোন সরকারী বা বে-সরকারী কোন সহায়তা। সদ্য ভাঙ্গনের শিকার আমিনুল, নারগিছ, জেলেখাসহ অনেকে বলেন, নদী ভাঙ্গনে আমরা সব হারিয়েছি এখন থাকার বা যাওয়াও জায়গা নেই বড় বিপদে আছি তবুও কেউ খবর নেয়নি।

আমরা ভাঙ্গন রোধ চাই, চাই থাকার জায়গা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরতদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে কেউ ফোন রিসিব করেননি। তবে সঠিক পরিকল্পনার অভাব ও সময় মতো ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দায়িত্বরত দপ্তর গুলোকে দায়ি করছেন এলাকাবাসী।