নিখোঁজের পর বাড়ির পাশে মিলল যুবতীর লাশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রাতভর নিখোঁজের পর শ্যামলী খাতুন (৩০) নামে এক যুবতীর লাশ মিলেছে বাড়ির পাশের একটি ধঞ্চে ক্ষেতে। শুক্রবার (৪ জুন) সকালে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। নিহত শ্যামলী ওই গ্রামের তাজমেল আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আগেরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ির বাইরে বের হন শ্যামলী। পরে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতভর নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে ধঞ্চে ক্ষেতের কিনারায় শ্যামলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার মেয়ে মিতু। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় সে। এ ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, নিজেদের বাড়ি থেকে মাত্র ১শ গজ দূরের ওই মাঠে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শ্যামলীর লাশ পড়েছিল। তার চোখে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। নিহত শ্যামলী খাতুন ডিভোর্সী ছিলেন। প্রায় ১০ বছর আগে স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর থেকে ১২ বছরের মেয়ে মিতুকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন শ্যামলী।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করার পর লাশ বাড়ির পাশে ধঞ্চে ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে কারা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।