শিবগঞ্জ ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো স্কুল ছাত্রী সদিয়া

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পার হস্তক্ষেপে এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচাই গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলামের কন্যা, শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৫) কে শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান এলাকার এক সেনা সদস্যের সাথে বিয়ে ঠিক হয়।

পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ অনুযায়ী বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে বিয়ের সব আয়োজন ঠিকঠাক করা হয়। এ দিকে বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে কুলসুম সম্পা ওই বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারপর উপস্থিতি টের পেয়ে নাবালিকা মেয়ে নিয়ে তার পিতা-মাতা শটকে পরে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেয়ের পিতা মাতাকে না পেয়ে মেয়ের চাচা ও মামাসহ আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে বাল্য বিয়ে না দেওয়ার জন্য মুসলেকা লিখে নেন।

আরো পড়ুন:
নুরজাহান ইসলাম নীরার মৃত্যুতে-যবিপ্রবি উপাচার্যের শোক

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নাবালিকা মেয়েসহ তারা পিতা-মাতারা বাড়িতে না থাকায় আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে মুসলেকা নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জেল বা জরিমানা করার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এমন খবর পেয়ে বর পক্ষও বিয়েতে যায়নি বলে জানা গেছে।