বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ জনপ্রশাসনে, দ্বিতীয় শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। আর সবচেয়ে বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন খাতে। এ খাতে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

খাতওয়ারি বাজেটে দেখা গেছে, প্রাথমিক স্তরে ২৬ হাজার ৩১১ কোটি প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরের থেকে এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরের থেকে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত অর্থবছরের থেকে এবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে ৮০৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা।

বাজেটে মোট আয় ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। মানুষের হাতে টাকার সরবরাহ বাড়াতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ টানার চেষ্টা থাকবে বছর জুড়েই। এজন্য বাজেটে মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ধরা হচেছ। আর মোট অনুন্নয়ন ব্যয় ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হবে প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক ঋণ নেওয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।