ঘূর্ণিঝড় আম্পান বছর পেরিয়ে গেলও সংস্কার হয়নি নাভারণ রেল ষ্টেশনের যাত্রী ছাউনি

বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংস্কার করা হয়নি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ রেল ষ্টেশনের যাত্রী ছাউনিটি। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে কিছুটা জয় করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে আংশিক গতি ফিরে আবারও বন্ধ থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ছাউনিটি এখনও মেরামত করা হয়নি। ফলে সংস্কার না হওয়ায় রেলে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে এলাকাবাসির মন্তব্য।

বিগত এক বছর সময় অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত রেলের যাত্রী ছাউনি অরক্ষিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। নজরদারি থাকেলও সংস্কারে কতৃপক্ষের রয়েছে কিছুটা উদাসীনতা।

স্থানীয়রা জানান, গেল বছর ২০মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ভয়াবহ প্রভাবে নাভারন রেল স্টেশনের যাত্রী ছাউনির সামনে এবং পিছন অংশের টিন উল্টে পড়ে আছে। করোনাকালীন লকডাউন থাকায় মানুষের কর্মজীবন থমকে যায়। দীর্ঘদিন কাজ এবং রেল চলাচলের বিরতি কাটিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও যাত্রী ছাউনিটি এখনও সংস্কার হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাভারন রেল ষ্টেশনের বুকিংম্যান বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আগে নাভারণ রেল ষ্টেশন থেকে প্রতিমাসে টিকিট বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ আয় করত প্রায় পৌণে ২লাখ টাকার মত। অথচ আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ছাউনিটি সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনও সংস্করণ হয়নি।

রেলওয়ের আই ডব্লিউ কর্মকর্তা চাঁদ আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ভয়াবহ প্রভাবে নাভারণ রেল ষ্টেশনের যাত্রী ছাউনির সামনে এবং পিছন অংশের টিন উল্টে পড়ে আছে। রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে একটু বিলম্ব হয়েছে। দ্রুত সংস্করণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি খুব শীগ্রই কাজ শুরু হবে এবং রেলে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।