সরকারী রাস্তার প্রায় ৪ শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ও টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ২টি সরকারী রাস্তার প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়েছে ওই এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি। বিষয়টি বন বিভাগ জানার পরেও অজ্ঞাত ও রহস্য জনক কারনে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানাগেছ, উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড (প্রাণনাথ পাঠিকাপাড়া) আলম মেম্বারের বাড়ীর সামনের ছোট ব্রীজ হতে সামাদ মাষ্টারের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় আধা কিঃমিঃ রাস্তার তিন শতাধিক গাছ এবং টংভাঙ্গা ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের ডাকালীবান্ধা হতে দক্ষিনে কারবালার দীঘি পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ যার আনুমানিক মূল্য ১০/১৫ লাখ টাকা। গাছগুলো কেঠে নিয়েছে স্থানীয় কতিপয় দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি।

এ বিষয়ে প্রাণনাথ পাঠিকাপাড়ার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাসীন্দা জানান, ওই এলাকার মোঃ হাবিবুল্লাহ এর ছেলে শাজাহান ও শাহজামালসহ বেলাল হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন ওই রাস্তার ৩ শত গাছ কেটে নিয়ে পার্শবর্তী দৈখাওয়া হাটের তামান্না ‘স’ মিলের মালিক তমিজ ভাটিয়া নামক এক ব্যক্তির নিকট মাত্র আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেন। তবে অধিকাংশ ইউকিলিপটার গাছ বলে তারা জানান।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বললে তারা জানান গাছগুলো আমরাই লাগিয়ে ছিলাম। আমরাই আবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে জানিয়ে কেটে বিক্রি করেছি।

এদিকে ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা এমনকি কেউ আমাকে বলেও নাই। তবে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম কোন কিছু না বলে বিষয়টি এরিয়ে যান। একই কথা বলেন টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান আতি।

এ প্রসঙ্গে টংভাঙ্গা ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ডাঃ ইয়াকুব আলী জানান রাস্তার গাছগুলো রাতের আধারে কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছেন তা আমি জানি না।

সরকারী রাস্তার গাছ কেটে নেওয়া বিষয়ে এলাকার অনেকেই জানার পরেও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে মুখ খুলছেন না। এ নিয়ে বন বিভাগের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেনি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে দেখে ব্যবস্থা নেব।