রাবিতে ছাত্রলীগের দু‘পক্ষের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ ছাত্রলীগরে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে চাকরি প্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগ। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশ লঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দেিক ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, চাকরি প্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেকশক অফিসার মাসুদের উপর হামলা চালান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতার্কমীরাও উপস্থত ছিলেন। এ সময় রাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করে। পরে রাবি ছাত্রলীগ সংগঠত হয়ে ধাওয়া করলে মহানগর ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ লাঠির্চাজ করলে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যান।

রাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সেকশন অফিসার কামারুজামান চঞ্চল জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাবি ভিসি আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরি প্রত্যাশী ১২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগের চাকরি প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এ সময় তারাও চাকরি দাবি করে এবং তাদের এমন ভাব যেন এখনই তাদের নিয়োগ দিতে হবে। এ নিয়ে সেকশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা হামলা চালায়। এ সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও লাঞ্ছিত করে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় রাবি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সেখানে ছিল। তারা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায়। পরে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ শুরু করলে দুই পক্ষেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।