নাইক্ষ্যংছড়ি চেকপোষ্ট তল্লাসীতে ৪৬শ ৫০ পিচ ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আর্দশগ্রাম এলাকার বিজিবি,র চৌকিতে তল্লাসী চালিয়ে ৪ হাজার ৬শত ৫০পিস ইয়াবাসহ ৩টি মোবাইল ও দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ১১,বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১১, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান (বিজিবি) এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল শাহ আব্দুল আজিজ আহাম্মেদ ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- ঢাকার মতিঝিল থানার উত্তর শাহাজানপুর এলাকার কাজী মনিরুল ইসলামের পুত্র কাজী ইয়াসিন (৩৭), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার রাজপাট এলাকার আকবর আলী মুন্সীর পুত্র সুমন মুন্সী(৩০), ঢাকা জেলার মতিঝিল থানার শান্তিনগর এলাকার কাজী জলিলের পুত্র কাজী আল আমিন (৩৩)।

তবে সিএনজি গাড়ীতে ৪জন থাকা অবস্থা তিন জন থেকে শরীরে তল্লাসী করার মূর্হুতে অন্য একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পালিয়ে যাওয়া মাদককারবারী হলেন কক্সবাজারের ঈদগাহ এলাকার নতুন অফিসেরচর নামক গ্রামের মৃত রহিম উদ্দীনের পুত্র মো,আব্দুল্লাহ (৩৮) বলে জিজ্ঞাসাবাদে নাম উঠে আসে।জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানাযায়, তারা উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে সাবের আলীর পুত্র মো,ইউনুছ (৩২)থেকে তার নিয়মিত ক্রয় করে নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক দিয়ে পাচার করে থাকেন।

১১ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল শাহ আব্দুল আজিজ আহাম্মেদ জানান, গত (৫ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আর্দশগ্রাম এলাকার ১১বিজিবির স্থাপিত চৌকিতে একটি নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রামুগামী একটি সিএনজি সন্দেহের ভিত্তিতে তল্লাসী চালিয়ে লুকিয়ে রাখা ৪হাজার ৬শত ৫০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় মাদককারবারিদের কাছ থেকে সিম সংযুক্ত ৩টি মোবাইলও উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৩লাখ ৯৫ হাজার হলেও তিনটি মোবাইলের বাজার মূল্য ৩হাজার টাকা হতে পারে ধারনা করা যাচ্ছে। পরে আটক কারবারিদের কাছ থেকে কিছু তথ্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবদের জন্য রাখা হয় বিজিবির হেফাজতে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় মাদককারবারির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করতে উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সীমান্তের সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ,নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যান্তরিণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।