পটুয়াখালীতে প্রশংসিত মাসব্যাপী ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ

পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচী বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। পহেলা রমজান থেকে শুরু করে প্রতিদিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রিক্স চালক,ভ্যান চালক,অসহায় ও নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে এ ইফতার বিতরন সাড়া ফেলেছে সর্ব মহলে। ছাত্রলীগের ধারাবাহিক এ কার্যক্রম দেখে আওয়ামী লীগের সহযোগী একাধীক সংগঠন অনুরুপ কর্মসূচী গ্রহন করেছে। করোনাকালীণ মহামারীর এই রমজানে ছিন্নমুল মানুষেরা ইফতার সামগ্রী হাতে পেয়ে দুহাত তুলে দোয়া করছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

জেলা ছাত্রলীগ সুত্র জানায় বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার অজুহাতে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর ঢাকায় জেলা ছাত্রলীগের পদপ্রাত্যাশীরা বারে বারে দৌড়ঝাপ করেও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যে পূণরায় লকডাউন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন কার্যক্রম। তবে করোনার এই মহামারীর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের একাধীক নেতা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ত্রাণ বিতরন থেকে শুরু করে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ পর্যন্ত দিয়ে আসছে।

জেলা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীহৃদয় আশিষ,সালাউদ্দীন হীরা,তানভীর হাসান আরিফসহ একাধীক নেতা জানান, রমজান শুরুর দুএকদিন আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ কাজী আলমগীরের নির্দেশে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচী গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পহেলা রমজান থেকে শহরের সার্কিট হাউস,সোনালী ব্যাংক মোড়,প্রেসক্লাব চত্ত্বর,সিঙ্গারা পয়েন্ট,বট তলা,সবুজবাগ মোড়,মুসলিম পাড়াসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রতিদিন রিক্সা চালক,অটো চালক,পথচারী,ছিন্নমুল মানুষসহ প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে আসছে।প্রতিদিন কমপক্ষে তিনশত করে প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। এর বাইরে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার পক্ষ থেকে প্যাকেট সরবরাহ করা হয়। সব মিলিয়ে রমজানে ১০ হাজার মানুষের হাতে ইফতার তুলে দিতে চায় ছাত্রলীগ এমন দাবী তাদের।

আউলিয়াপুর এলাকার অটো চালক মো.অলিউল্লাহ(৩৮),বাজারঘোনার আনোয়ার(৩৬),রাজমিস্ত্রী ইব্রাহিমসহ একাধীক পথাচারী জানান,লক ডাউনের কারনে শহরের সব হোটেল বন্ধ। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে অনেক সময় লাগে। ইফতারের সময় হলে পানি ছাড়া কিছুই জুটতো না। এখন সারা দিনের রোজা রাখার পর ছাত্রলীগের দেয়া এক প্যাকেট ইফতার দিনের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়। তারা আল্লার কাছে তাদের এ কাজের জন্য দোয়া করেন। তারা বলেন যারা এই ইফতার দিচ্ছে তাদের আল্লাহ যেন ভালো করেন।

জেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকার পরও জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা যে ইতিবাঁচক কর্মকান্ড করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখছে বলে দাবী জেলার বিশিষ্টজনদের।

এ বিষয়ে সুশানের জন্য নাগরিক(সুজন) সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত ও পটুয়াখালী প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন ব্যানার্জীজানান,বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাদের সোনালী অর্জনকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আজকের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।তাদের এ কাজ সত্যিই প্রসংসার দাবী রাখে বলে অভিমত তাদের।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ কাজী আলমগীর জানান, যদিও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই তার পরওএই মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রমান করেছে তারা মানুষের সেবায় নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত।

পটুয়াখালীর মতো ছোট্ট একটি জেলা শহরে তাদের এই কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন তিনি। আগামী দিনের যে কোন সংকটে-সংগ্রামে ছাত্রলীগ সবার আগে সামিল হবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।