বগুড়ার গাবতলীতে নতুন জাতের ধান চাষ : বাম্পার ফলনের আশা

বগুড়ার গাবতলীতে কিটনাশক ছাড়া পার্চিং পদ্ধতিতে ধান চাষ করে প্রতি শতকে ১ মনের বেশি, বিঘায় ৩৩ মনের অধিক ধান আশা নিয়ে ১৭ বিঘা জমিতে নতুন ১২০৫ জাতের বোরো ধানের চাষ করেছে কৃষক আনোয়ার হোসেন ফুল্লু। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এই আশাবাদী কৃষক ১৭ বিঘা জমি থেকে ৬শত মনের অধিক ধান লাভবান হবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছেন।

সরজমিনে জানাগেছে, গাবতলী উপজেলার নেপালতলী-বর্তমান সুখানপুকুর ইউনিয়নের চকডঙর গ্রামের মৃত আশারু ফকিরের ছেলে কৃষক মোঃ আনোয়ার হোসেন ফুল্লু, চামুর পাড়া মাঠে তার নিজস্ব স্কিমে ২০২০ সালে সিনজেনটা কোম্পানির ১২০৫ জাতের বোরো ধান চাষ করে ১৫ বিঘা জমি থেকে ৪৯৫ মন ধান সংগ্রহ করেছিলেন। এবার সে একই জাতের ধান চাষ করেছে ১৭ বিঘা নিজস্ব জমিতে। কৃষক আনোয়ার হোসেন ফুল্লু জানান, কোন কিটনাশক ছাড়াই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন তিনি।

ফলে পোকা-মাকর বালাই তার জমিতে আক্রমন করেনি। শল্প পরিমান সুষম সার ব্যবহার করেন জমিতে। ফলে আগাচার পরিমান কম হওয়ায় নিড়ানি পরিমান কম দিতে হয়েছে, কামলা খরচ কম হয়েছে। কৃষি অফিসে যোগাযোগ ও এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের সার্বক্ষনিক পরামর্শ গ্রহন করেন কৃষক আনোয়ার হোসেন ফুল্লু।

ফলে জমিতে চারা রোপন থেকে ধান পাকা পর্যন্ত এবং নিজস্ব মেশিনে পানি সেচের কারনে খুব কম খরচে হয়েছে তার এই ধানচাষে। এই কৃষক আরো জানান, এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম আমার জমিসহ এই এলাকার কৃষকের ফসলে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, কিভাবে কিটনাশক ছাড়া পার্চিং পদ্ধতিতে ফসল করা যায়।

ফলন ভালো করতে তিনি কৃষকদেরকে একত্রিত করে পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষক আনোয়ার হোসেন ফুল্লু আশায় বুক বেধেঁ আছেন, এবারো ১২০৫ জাতের বোরো ধানের চাষ করে ১৭ বিঘা জমি থেকে ৬শত মনের অধিক ধান আশাকরছেন।

এ ব্যপারে এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কৃষককে পরামর্শ ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব পালনে কোন ঘাটতি নেই। কৃষক ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো, কৃষক খুশি থাকলে আমরাও খুশি থাকবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিচ্ছি কৃষককে যে, কিটনাশক ব্যবহার কমাতে, জৈব সার ব্যবহারে। নিয়মিত মাটি পরীক্ষা করে চাষাবাদ করতে। দেশের ৮০ ভাগ খাদ্য চাহিদা যেহেতেু কৃষক মিটিয়ে থাকে, সে জন্য কৃষকের উন্নয় দেশের উন্নয়ন।