কপিলমুনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির নাম সংশোধনে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির সচিব মো. আ. গণি গাজীর বিরুদ্ধে এবার রেজিষ্ট্রারে মৃত ব্যক্তির নাম সংশোধনের জন্য উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।

এরআগে তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে এন্ট্রির সময় কখনো পরিষদের ভূল কোড’র ব্যবহার, অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারীর নাম, কিংবা তার পিতা-মাতাসহ নানা ভ্রান্তির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেসব বিষয়ে প্রায়ই তার সাথে ভূক্তভোগীদের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।

সূত্র জানায়, সরকার নির্ধারিত কম রেটে অনভিজ্ঞদের দিয়ে অনলাইন এন্ট্রি কার্যক্রম পরিচালনা করায় এমনটি হয়েছে।
এসব বিষয়ে তিনি কখনো সার্ভার সমস্যা, কখনো উপজেলা আবার কখনো জেলা কতৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করতে বলছেন। এসকল সমস্যায় অনেকেই তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি, পার্সপোর্টসহ বিভিন্ন কাজে জন্ম নিবন্ধন রেজিষ্ট্রার ভ্রান্তিতে চরম ভোগান্তির মুখে রয়েছেন।

এব্যাপারে কপিলমুনি ইউপির অনলাইন উদ্যোক্তা মনিরুল ইসলাম জানান, তার নিয়োগের আগেই তিনি অন্য কাউকে দিয়ে এন্ট্রি করিয়েছেন।

এদিকে উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের শেখ জিয়াউর রহমান তার অভিযোগে জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তার পিতা শেখ নুর ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা পরিষদের মৃত্যু রেজিষ্ট্রারে অন্তভুক্ত করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান তার পিতার মৃত্যু সনদ নিতে গেলে নামের স্থলে তথ্যগত অসঙ্গতি দেখতে পান। এসময় তিনি রেজিষ্ট্রারে তার পিতার নাম সঠিকভাবে লেখার জন্য ইউপি সচিবকে অনুরোধ করেন।

তবে ইউপি সচিব গণি গাজী ইউএনও অফিসের দোহায় দিয়ে ভুক্তভোগীর নিকট থেকে ৭’শ টাকা গ্রহণ করলেও অদ্যাবধি তার পিতার নাম সংশোধন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে ২০ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে জিয়াউর পরিষদে গিয়ে তার কাছে খোঁজ নিলে ইউপি সচিব গণি গাজী তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন জিয়াউর রহমান।

বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তিনি গত ২২ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এব্যাপারে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ আঃ গণি গাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তার পিতার নাম সংশোধনের জন্য তার কাছে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তার সাথে কোন প্রকার অর্থ লেন-দেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, বিষয়টি তার জানানেই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। পরিষদের রেজিষ্ট্রারে মৃত ব্যক্তির নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই বলেও জানান তিনি।